মোঃ কামরুজ্জামান, কলাপাড়া, পটুয়াখালী, প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা লতাচাপলী ইউনিয়নে মম্বিপাড়া গ্রামের মাঝ দিয়ে বড়হরপাড়া প্রবাহমান খালের ওপর নির্মিত আয়রন ব্রিজটির (সাধুর ব্রীজ নামে পরিচিতি) সম্পূর্ণ ভেঙে খালে পড়ে গেছে।
রোববার সকাল ১১টার দিকে মালবাহী ট্রাক পার হওয়ার চেষ্টাকালে ব্রিজটি ভেঙে পড়ে। ব্রীজটি ভেঙে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিত পড়েছে পর্যটকসহ পাঁচ গ্রামের মানুষ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালে সেতুটি নির্মাণ করে। ৮০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১০ ফুট চওড়া। পুরনো এই ব্রীজ নড়ে বড়ে হয়ে পড়েছে প্রায় দুই বছর আগে। তবুও সংস্কার করা হয়নি। গত বছর হঠাৎ একদিন ব্রীজটি কিছু অংশ ভেঙে পড়ে। এই ব্রীজ দিয়ে প্রতি দিন লতাচাপলী ইউনিয়নের মম্বিপাড়া, নতুন
বাজার, বড়হরপাড়া, পৈরঘোজা এবং স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীসহ ৫ গ্রামের মানুষ চলাচল করে। কুয়াকাটায় ভ্রমন পিপাসু আগত পর্যটকরা মিশ্রীপাড়া বৌদ্ধ মন্দির দেখতে যাওয়ার একমাত্র সহজ পথ ছিল এটি।
স্থানীয় শুকদেব সৈদ্যাল বলেন, এক বছর ধরেই আমরা এই ভাঙা ব্রীজ পার হয়ে যাওয়া আসা করি। তবে ব্রীজটি সম্পূর্ণ ভাঙার কারণে এখন যাতায়াতে অনেক সমস্যা হবে। ছাত্র-ছাত্রী স্কুলে যেতে অনেক সমস্যা হবে। চরম ভোগান্তি পড়বে অসুস্থ রোগীরা। তাই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি খুব দ্রুত যাতে নতুন করে ব্রীজ তৈরি করে কুয়াকাটায় আগত পর্যটকসহ পাঁচ গ্রামের মানুষের যাতায়াতের ব্যবস্থা করে।
মিশ্রীপাড়া ফাতেমা হাই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.গোলাম মস্তফা বলেন, ওই ব্রীজ দিয়ে আমার বিদ্যালয় ছেলে মেয়েরা আসা যাওয়া করে। এখন বিদ্যালয় ছেলে মেয়েদের দুর্ভোগের শেষ নেই। কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি দ্রুত নতুন করে ব্রীজ নির্মানের দাবী জানায়।
মম্বিপাড়া গ্রামের ইউপি সদস্য দুলাল শিকদার জানান, দু’বছর আগে ব্রীজটি কিছু অংশ ভেঙ্গে পড়ে। এর পর আমরা তক্তা দিয়ে কোন রকম মানুষের চলাচলের ব্যবস্থা করি। উধ্বর্তন কর্তুপক্ষে কয়েক বার জানালাম কোনা কাজে আসেনি।
উপজেলা এল জি ই ডি নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাদেকুর রহমান জানান, ব্রীজ ভেঙ্গে পড়ার কথা আমি শুনেছি। পরবর্তীতে কি করা যায় তা জানাবো।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সরেজমিন পরিদর্শন করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।