শুভদিন অনলাইন রিপোর্টার:
আশ্রয়ের আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ায় অবৈধ হয়ে পড়া বাংলাদেশীদের ফেরানো দ্রুততর করতে যুক্তরাজ্যের সাথে একটি চুক্তি করেছে বাংলাদেশ সরকার।
লন্ডনে বাংলাদেশের হাইকমিশন শুক্রবার (১৭ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার দুদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের সভায় এ বিষয়ে একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিজার্স (এসওপি) সই হয়েছে।
জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের সভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব খায়রুল কবির মেনন বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।
আর ব্রিটিশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন স্বরাষ্ট্র দফতরের ইমিগ্রেশন এনফোর্সমেন্ট বিষয়ক মহাপরিচালক বেস জাভিদ।
সভায় যুক্তরাজ্যের অবৈধ অভিবাসন প্রতিরোধমন্ত্রী মাইকেল টমলিনসন এবং যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীমও অংশ নেন।
হাইকমিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অবৈধদেরকে ফেরাতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে ২০১৭ সালে বাংলাদেশের হওয়া এসওপি’র ধারাবাহিকতায় এবারের এসওপি সই হয়েছে। আগের এসওপির আওতায় যেভাবে ব্রেক্সিটের আগে যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশীদের ফেরানো হতো, এবারো সেই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে।
আরো বলা হয়, ওয়ার্কিং গ্রুপের সভায় অবৈধদের ফেরানোর বিষয়ে এসওপি সই হওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে দক্ষদের বৈধ পথে অভিবাসনের বিষয়েও আলোচনা হয়।
ব্রিটিশ দৈনিক টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে ব্যর্থ হওয়া ব্যক্তিদের পাশাপাশি অপরাধী এবং ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার পরও অবস্থানকারীদের দ্রুততার সাথে ফেরত পাঠানোর জন্য এই চুক্তি হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর মার্চ পর্যন্ত এক হিসাবে, আগের ১২ মাসে যারা যুক্তরাজ্যের ভিসার নিয়ম ভেঙে সে দেশে স্থায়ীভাবে থেকে যাওয়ার চেষ্টা করেছে, তাদের মধ্যে সংখ্যার দিক দিয়ে বাংলাদেশীরা রয়েছে উপরের দিকে।
এ সংখ্যা প্রায় ১১ হাজার। শিক্ষার্থী, শ্রমিক বা ভিজিটর ভিসায় ব্রিটেনে ঢোকার পর তারা সেখানে স্থায়ীভাবে থেকে যাওয়ার জন্য রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেন। সেই আবেদনে সাড়া পেয়েছেন মাত্র ৫ শতাংশ বাংলাদেশী।
যুক্তরাষ্ট্রের অবৈধ অভিবাসন প্রতিরোধমন্ত্রী মাইকেল টমলিনসকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অবৈধভাবে মানুষের আসা বা থাকা ঠেকাতে তাদের ফেরত পাঠানো দ্রুততর করা আমাদের পরিকল্পনার অংশ। বাংলাদেশ আমাদের মূল্যবান অংশীদার এবং এ বিষয়ের পাশাপাশি অন্য অনেক বিষয়ে তাদের সাথে আমাদের সম্পর্ক জোরদার হওয়ার বিষয়টি সত্যিই দারুণ।’
তিনি বলেন, ‘এ ধরনের চুক্তি যে অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, তার সুস্পষ্ট প্রমাণ আমাদের হাতে রয়েছে। বৈশ্বিক সমস্যায় দরকার বৈশ্বিক সমাধান এবং সবার জন্য ন্যায্য পদ্ধতি তৈরি করার জন্য বাংলাদেশ এবং অন্য অংশীদারদের সাথে আমরা কাজ করতে চাই।’