শুভদিন অনলাইন রিপোর্টার:
জাতীয় নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচনের সকল ধাপে ব্যবসায়ী প্রার্থীদের দাপট অক্ষুণ্ণ রয়েছে বলে মনে করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। তাদের তথ্যমতে, নির্বাচিতদের মধ্যে ব্যবসায়ীদের হার ৫ বছরে বেড়েছে ৬.৫ শতাংশ। সর্বশেষ নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যানদের প্রায় ৭৯ শতাংশই ব্যবসায়ী।
রোববার রাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় প্রতিষ্ঠানটি। ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে হলফনামা বিশ্লেষণ ও চূড়ান্ত ফলাফল শীর্ষক এ আয়োজনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।
টিআইবি জানায়, স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনে তিনটি পদের ভোটে ১ হাজার ২১০ জন নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যানদের মধ্যে ৯৩০ জনই নতুন মুখ। তাদের মধ্যে ২৭৯ জন জনপ্রতিনিধি রয়েছেন যারা ৫ম উপজেলা পরিষদে ছিলেন। নির্বাচনে চার ধাপে ৪৪২ উপজেলার মধ্যে তিনশর বেশি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নতুন মুখ নির্বাচিত হয়েছেন।
টিআইবি বলছে, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নারীর অংশগ্রহণ জাতীয় নির্বাচনের তুলনায়ও কম। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নারী প্রার্থী ছিলেন মাত্র ৭৬ জন যার মধ্যে ১৪ জন জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের মধ্যে উচ্চশিক্ষিত বেশি; নারী ভাইস চেয়ারম্যানদের অধিকাংশ নিম্ন মাধ্যমিক থেকে মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়েছেন।
নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের ৫০.৯৬ শতাংশ নিজেকে গৃহিণী/গৃহস্থালি কাজকে পেশা হিসেবে দেখিয়েছেন। গৃহিণী/গৃহস্থালিকে পেশা হিসেবে দেখানো প্রার্থীদের ১৫.৬৮ শতাংশের আয় আসে ব্যবসা থেকে।
১৫.৭৯ শতাংশ প্রার্থীর কোনো না কোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। নির্বাচিতদের ক্ষেত্রে এ হার ২০ শতাংশ।