শুভদিন অনলাইন রিপোর্টার:
২৪ ঘণ্টা সময়ে দেশে ৪০৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে চলতি বছরের ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ১৫ হাজার ২০৭ জন। এর মাঝে ১৩ হাজার ৬০৩ জন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। চলতি বছর এ যাবত ডেঙ্গুতে মোট মারা গেছেন ৯৫ জন।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, বিগত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৪০৩ জনের মাঝে পুরুষ ৬২.৫ শতাংশ ও নারী ৩৭.৫ শতাংশ। এর মাঝে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ২৫৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন। দুই সিটি করপোরেশনের বাইরে ঢাকা বিভাগের অন্যান্য এলাকায় বিগত ২৪ ঘণ্টায় ৩১ জন রোগী নতুনভাবে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে।
বিগত ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ বিভাগে আট জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৯২ জন, খুলনা বিভাগে ১৫ জন রোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। রাজশাহী, রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগে বিগত ২৪ ঘণ্টায় কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ১৫ হাজার ২০৭ জন। এর মধ্যে ৬১ দশমিক তিন শতাংশ পুরুষ এবং ৩৮ দশমিক সাত শতাংশ নারী রয়েছেন। চলতি বছর এ যাবত ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ৯৫ জন। এর মাঝে ৫১.৬ শতাংশ নারী ও ৪৮.৪ শতাংশ পুরুষ।
বিগত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ২৫২ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত ও মৃত্যুর যে ঊর্ধ্বমুখী চিত্র দেখা যায়, সেটার ধারাবাহিকতা বজায় ছিল চলতি বছরের জানুয়ারিতেও। মোট এক হাজার ৫৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী জানুয়ারি মাসে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। এর মাঝে ১৪ জন মারা যান।
তবে ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এই সংখ্যা কমে আসতে থাকে। এই মাসে ৩৩৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এর মাঝে তিন জন মারা যান। মার্চে মাসে দেশে ৩১১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। যার মাঝে পাঁচ জন মারা যাওয়ার তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর। এপ্রিলে ৫০৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় যার মাঝে দুই জন মারা যান। মে মাসে ৬৪৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর মাঝে ১২ জন মারা গেছেন।
জুনে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৭৯৮ জন চিকিৎসা নেন। এর মাঝে আটজন মারা যান। তবে জুলাই মাসে জুনের তুলনায় ৩ দশমিক ৩৪ গুণ বেশি বা দুই হাজার ৬৬৯ জন রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। এদের মধ্যে মারা যান ১২ জন। কিন্তু সেই হিসাব ছাড়িয়ে যায় আগস্টের পরিসংখ্যানে। এই মাসটিতে জুলাইয়ের তুলনায় ২ দশমিক ৬২ শতাংশ বেশি বা ছয় হাজার ৫২১ জন রোগী শনাক্ত হয়। যার মধ্যে মারা গেছেন ২৭ জন।