স্টাফ রিপোর্টারঃ
সাধারন বীমা কর্পোরেশনের শীর্ষ ৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সিন্ডিকেটবদ্ধ হয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের সর্বোচ্চ যাচাই-বাছাইয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ হারুন-অর-রশীদ, জেনারেল ম্যানেজার এস এস শাহ আলম ও ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আঃ বারেক। এসব কর্মকর্তারা বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে জয়বাংলা শ্লোগান দিয়ে সাধারন বীমায় এক লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছে। ৫আগষ্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও হারুন সিন্ডিকেট রয়েগেছে বহাল তবিয়তে। দুর্নীতিতে অভিযুক্ত এমডি হারুন-অর-রশীদ অপসারনের দাবীতে তার কার্যালয় ঘেরাও করা হলেও রহস্যজনক কারনে সেই কর্মসূচী আর আলোর মুখ দেখেনি। বীমা উন্নয়ন এবং নিয়ন্ত্রন কর্তৃপক্ষ ও দুদক কর্তৃক ডিজিএম আব্দুল বারেকের বিরদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও অভিযোগের জন্য ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনার প্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী অভিযুক্ত হওয়া সত্তেও বর্তমান ব্যস্থাপনা কর্তৃপক্ষ সরকারী বিধি সম্মত কোন ব্যবস্থা গ্রহন করে নাই।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, আওয়ামীলীগ সরকারের দলীয় নিয়োগকৃত এবং বর্তমানেও বহালকৃত সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুন অর রশিদ প্রভাব খাটিয়ে আরেক মুজিব সেনা বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের যুগ্ন-সচিব, সাধারন বীমার পরিচালক আব্দুছ সামাদ আল আজাদ এর মাধ্যমে এক সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে এবং মোটা অংকের লেন-দেন এর বিনিময়ে মোঃ আব্দুল বারেক কে ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার অনিয়ম সহ বিভিন্ন অভিযোগ গুলোর দায় হইতে অব্যহতি দিয়ে দেয়। ডিজিএম আব্দুল বারেক এর বিরুদ্ধে বর্নিত প্রতারণা ও জালিয়াতির রেকর্ড পুনরায় পর্যালোচনার জন্য দুদক সাধারণ বীমা কর্পোরেশন এর ব্যবস্থপনা পরিচালক বরাবর গত ০২/০৯/২০২৪ইং তারিখে, স্বারক নং ০০.০১.০০০০.৫০১.০১.০০৩.২২-৩০৯৬৮ এর পত্রের মাধ্যমে তথ্যাদি ও নথি তলব করেছে বলে জানা যায়।
এস এম শাহ আলম ৬ জন জি এম এর পোষ্ট দীর্ঘ দিন যাবৎ খালি থাকা সত্বেও যারা দীর্ঘ দিন পূর্ব হইতে পদন্নোতির যোগ্যতা অর্জন করেছেন তাদের পদন্নোতি না দিয়ে এবং বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ হারুন-অর-রশীদ (অতিরিক্ত সচিব) কে নানান ধরনের সুবিধাদি প্রদান সহ ঘুষ বানিজ্যের জন্য দাবী বিভাগ, বিপনন, ব্যবসা উন্নয়ন ও দায় গ্রহন বিভাগ, মানব সম্পদ বিভাগ(অতিরিক্ত দায়িত্ব), ইসিজি বিভাগ(অতিরিক্ত দায়িত্ব), সাধারণ বীমা কর্পোরেশন, প্রধান কার্যালয়, ঢাকায় ৪(চার)টি গুরত্বপূর্ন বিভাগে জি.এম এর সার্বিক দায়িত্ব পালন করছেন। তাছাড়াও তিনি বহু পূর্ব হইতে কর্পোরেশনের বিভিন্ন বিভাগে দুর্নীতি ও অনিয়মের সহিত জড়িত।
জেনারেল ম্যানেজার এস এম শাহ আলম ঢাকা জোনাল অফিসে কর্মরত থাকাবস্থায় ২০১৬-২০১৭ইং সালে ব্যবসা উন্নয়ন ব্যয় ও বীমা দাবী আপ্যায়ন খাতে উক্ত জোনের হিসাব বিভাগের ডি. জি. এম এবং একজন কর্মকর্তার সহযোগীতায় দুর্নীতির মাধ্যমে ভুয়া বিল-ভাউচার তৈরী করে অনিয়মিত ভাবে ৭ লাখ ৬৭ হাজার ৬৬৮ টাকা ব্যয় দেখিয়ে নিজের পকেটে নিয়েছেন, পরবর্তীতে বীমা উন্নয়ন এবং নিয়নস্ত্রন কর্তৃপক্ষ তা জানতে পেরে উক্ত কর্তৃপক্ষের তৎসময়ের নির্বাহী পরিচালক এবং বর্তমানে সাধারণ বীমা কর্পোরেশন এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ হারুন-অর-রশীদ (অতিরিক্ত সচিব) এর মাধ্যমে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়, তখন তিনি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এস এম শাহ আলম এর উক্ত দুর্নীতির সব অনিয়ম ধামা-চাপা দিয়ে দেয়।
এব্যাপারে বিস্তারিত জানতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুন-অর-রশীদের দপ্তরে গেলে তিনি কথা বলতে রাজি হয়নি। জেনারেল ম্যানেজার এস এম শাহ আলম এর কক্ষে গিয়ে জানা যায়, তিনি অফিসে নেই, বাইরে আছেন।