-কাজী মোঃ হাসান
যে যায় সে আর ফিরে আসে না।
কখনোই না! কোনদিন না!
সে আর ফিরে আসে না।
যাবার বেলায় রেখে যায় শুধু
এক ঝাঁক স্মৃতি আর
ঝাউবনে চৈত্রের খাঁ খাঁ রোদ্দুরে
এক মুঠো অব্যক্ত দীর্ঘ শ্বাস।
তুমি তো যাবেই
যেতে যেতে একবার এইখানে
এই সমুদ্র স্নানে
দিগন্ত রেখার উন্মুক্ত আকাশের নিচে
একটু দাঁড়াও
সন্ধ্যার হালকা আবির মাখা
আধো জ্যোৎস্নার বাধ ভাঙা আলোয়
আর একবার তোমায় প্রাণ ভরে দেখি।
মনে হয় কাছে থেকেও যেনো
কতো দিন চোখ মেলে দেখিনি তোমায়!
আমাকে আর একটু সময় দাও
তোমার মুখটুকু ছুঁয়ে দেখি
প্রথম রাতের মতো পরম মুগ্ধতায়,
তুমি কতো সুন্দর ছিলে –
সে কি চাঁদের মতো, তবে কি গোলাপের মতো
না কি বেহেস্তি হুরদের মতো- তুলনাটা ঠিক মিলাতে
পারিনি কোনদিন। আজো হলো না।
চোখ ঝাপসা হলেও তোমাকে চিনতে
আমার ভুল হয়নি কোনদিন, আজো হবে না।
তুমি ঘরে ঢুকলেই একটা মিষ্টি গন্ধে আমি ঠিক বুঝে
যেতাম- তুমি এসেছো।
এই চোখ, এই অধর, এই কপোলের ছোঁয়া
সব যেনো হাজার বছরের চেনা।
আমাকে একলা ফেলে তুমি তো কোনদিন কোথাও যাওনি?
তবে আজ কেন গেলে- আমাকে একলা ফেলে?
তোমার অপেক্ষা করে কোন লাভ নেই
যে যায় সে আর কোনদিন ফিরে আসে না।
তুমিও ফিরবে না কখনোই
তবু আশায় থাকি, আশায় আশায় বুক বাঁধি।
ফিরে না আসো-
যদি দেখা হয়ে যায় কোনদিন
কোন খানে।
জানি, হয়তো এ আশারও নেই কোনো মানে
তবু থাকি।
সত্যি, আমি এক অশান্ত অবুঝ মানুষ!
তাই সব দেখে, শুনে, বুঝেও
না বুঝার ভান করে ওরাই ফানুস্!
কি করবো বলতে পারো?
“তোমাকে দেখার সাধ যে মেটে না কিছুতেই!”