নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
দেশের প্রথম প্রজন্মের বেসরকারি ব্যাংক লিঃ তাদের ৩৯ তম বার্ষিক সাধারণ সভা অংশগ্রহনমূলক ও সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতি অনুস্মরণ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো।
ন্যাশনাল ব্যাংক লিঃ ২৫ আগস্ট তাদের ৩৯ তম বার্ষিক সাধারণ সভাকে সামনে রেখে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনের বিধি বিধান অনুস্মরণ করে শেয়ার হোল্ডাদের জন্য ২৪ আগস্ট থেকে অনলাইনে ভোটগ্রহণ শুরু করে। শেয়ার হোল্ডার গণ অভূতপূর্ব সাড়া দিয়ে ৩৯ তম বার্ষিক সাধারণ সভায় ৬৪% ভোট প্রদান করেন। ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী তিন জন পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন, মাবরুর হোসেন এবং রণ হক সিকদার পদত্যাগ করে পুন:নির্বাচনে প্রার্থী হলে কেবলমাত্র রণ হক সিকদার শেয়ার হোল্ডারদের মোট ভোটের ৮৭.৮৫% হ্যাঁ ভোটের আস্থায় নির্বাচিত হন। অপর পক্ষে শেয়ার হোল্ডারদের না ভোটে মোয়াজ্জেম হোসেন, মাবরুর হোসেন ব্যাংকের পরিচালক পদ হারান।
উক্ত বার্ষিক সাধারণ সভায় অন্যান্য আলোচ্যসূচির মধ্যে ব্যাংকের ২০২১ সালের সমাপ্ত বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদিত হয় ।
ন্যাশনাল ব্যাংক চেয়ারম্যান মনোয়ারা সিকদার সভা শেষে একটি অবাধ সুষ্ঠ ও অংশগ্রহনমূলক বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত করায় ব্যাংকের সকল শেয়ার হোল্ডারদের ধন্যবাদ জানান।
প্রসঙ্গত, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড বাংলাদেশের বেসরকারি মালিকানাধীন একটি ব্যাংক। এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মূলধনি প্রতিষ্ঠান। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর স্নেহধন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম জয়নুল হক সিকদার তাঁর মেধা, মনন ও শ্রম দিয়ে ১৯৮৩ সালের ২৩ মার্চ ১০০ মিলিয়ন টাকা অনুমুদিত মূলধন এবং ৪০ মিলিয়ন টাকা পরিশোধিত মূলধন নিয়ে এই ব্যাংকের পথচলা শুরু করেন। বর্তমানে এই ব্যাংকের অনুমুদিত মূলধন ৫০, ০০০ মিলিয়ন টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ৩০, ৬৬৪.১৯ মিলিয়ন টাকা।
ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে অত্যন্ত সুনামের সাথে ব্যবসা পরিচালনা করে দেশ ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বুনিয়াদকে শক্তিশালী করার জন্য নিয়োজিত রয়েছে। দেশব্যাপী ২১৯ টি শাখা, ১৪ টি উপ-শাখা, এটিএম সার্ভিস সেবা এবং বিশ্বের ৬২ টি দেশের ৪১৯ টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করেছে ন্যাশনাল ব্যাংক। দেশিয় ব্যাংক হিসেবে ন্যাশনাল ব্যাংক প্রথম ব্যাংক যা বিশ্বসেরা “ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন” এর সাথে চুক্তি সম্পন্ন করে প্রবাসীদের আয় বৈধপথে দেশে আনার জন্য পথ সৃষ্টি করে। ব্যাংকিং ব্যবসা ছাড়াও ব্যবসায়ির সামাজিক দায়িত্ব হিসেবে দেশের শিক্ষা, চিকিৎসা, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম, মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণ, পরিবেশ উন্নয়ন এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় ন্যাশনাল ব্যাংক উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থনৈতিক সহয়তা করে থাকে। বাংলাদেশের প্রথম মহিলা মেডিকেল কলেজ এই ব্যাংকের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিষ্ঠিত হয়ে সুনামের সাথে চলমান আছে। এসব কার্যক্রমের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সনদ অর্জন করেছে ন্যাশনাল ব্যাংক।
বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত জয়নুল হক সিকদারের সহধর্মিনী মনোয়ারা সিকদার বর্তমানে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারপার্সন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিভিন্ন সূচকে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের সাফল্য শেয়ারহোল্ডারদরে জন্য বেশ ইতিবাচক।
সিকদার পরিবার আজীবন একত্রে ছিল এবং এখনও পারস্পরিক আস্থা ও ভালোবাসা নিয়ে একটি সুখী, দায়িত্বশীল এবং পরোপকারী পরিবার হিসেবে সমাজ ও দেশ-বিদেশে ব্যাপকভাবে সম্মানিত এবং প্রশংসিত।
উল্লেখ্য, ২০১৯-২০ করবর্ষে সর্বোচ্চ করদাতা চারটি ব্যাংকের মধ্যে সম্পূর্ণ দেশীয় মালিকানায় প্রতিষ্ঠিত ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড সেরা করদাতার সম্মাননায় ভূষিত হয়েছে। দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে ন্যাশনাল ব্যাংকের ভূমিকা অনস্বীকার্য।