নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস প্রয়োজন-উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ

মোঃ হাফিজুল ইসলাম (হাফিজ):

সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস প্রয়োজন। তিনি বলেন , নারীর অগ্রগতিকে এগিয়ে নিতে ও নারীর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সরকারের পাশাপাশি সমাজের সোসাল সোসাইটির সমন্বিত উদ্যোগ ও কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে হবে।
তিনি আজ ঢাকায় গুলশানে স্থানীয় একটি হোটেলে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত Multi stakeholder consultation on outcom of the sixty-ninth session on the Commission on the Status of Women (CSW) কনসালটেশন ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
কনসালটেশন ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ এনডিসির পক্ষে এ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব প্রকাশ কান্তি চৌধুরীর সভাপতিত্বে নারী সংস্কার কমিশনের প্রধান শিরীন শারমিন হক, ইউএনওমেন এর রিপ্রেজেন্টেটিভ গীতাঞ্জলি সিং এবং মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব দিলারা বেগম বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন নারী সংগঠনের প্রতিনিধি ও সিভিলে সোসাইটির সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সরকারি ও বেসরকারি এবং সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেন, ২০২৫ সালের ১০-২১ মার্চ পর্যন্ত নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতিসংঘে নারী মর্যাদা বিষয়ক কমিশনের (CSW)৬৯ অধিবেশনে ১৯৩ টি সদস্য রাষ্ট্র অংশগ্রহণ করে। সেখানে বেইজিং কর্মপরিকল্পনার পূর্ণ বাস্তবায়ন এবং নারীর ক্ষমতায়নের জন্য ত্বরান্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, নারী ও মেয়েদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা সম্প্রসারণ এবং অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টিতে সরকার কাজ করছে। নারী সংস্কার কমিশনের রিপোর্টে নারীর অধিকার ও সমতা অর্জন এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নেও নারী কমিশন কাজ করছে। এই কমিশনে জুলাই বিপ্লবে যোদ্ধা হিসেবে প্রায় ৭০ শতাংশ নারী কন্যাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ রিপোর্টে থাকা
প্রয়োজন।
উপদেষ্টা বলেন, নারী পুরুষের সম্মিলিত প্রয়াসে বিশ্ব যখন এগিয়ে তখন আমরা এদেশের পুরুষতান্ত্রিক সমাজে এতোদিনেও নারী নির্যাতনের মানসিকতার পরিবর্তন করতে পারিনি । সমাজের সবকাজে নারী অধিকারের সমান অধিকার নিশ্চিত করতে না পারলে এদেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, নারী ও শিশুর উপর যে নির্যাতন, সাইবার বুলিং হচ্ছে তা প্রতিরোধে আমাদের সংস্কৃতিতে, মনোজগতে ও ধর্মীয় অনুশাসনের উপর গবেষণা প্রয়োজন। এছাড়াও সমাজে কিশোর গ্যাং বেড়েছে। এই কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনতে হবে।
নারী নির্যাতনের জায়গায় আমরা এতো দিন কেন জিয়িয়ে রাখলাম, কেন এতোদিন নারী নির্যাতনের পরিবর্তন করতে পারলো না, এটা একটা ভাববার বিষয় উল্লেখ করে বলেন, আমি মনে করি দেশকে এগিয়ে নিতে নারী পুরুষের বিভাজন না করে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এগিয়ে যেতে হবে। তিনি বলেন, আমার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে গ্রামের প্রান্তিক পর্যায়ে অবহেলিত নারী ও শিশুর সহযোগিতায় কুইক রেস্পন্স টিম গঠন করা হয়েছে এবং জুলাই কন্যাদের নিয়ে সাইবার বুলিং প্রতিরোধে ভূমিকা রাখার জন্য কমিটি গঠন করা হবে,এর সাথে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সহযোগী হিসেবে কাজ করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *