রাজধানীতে সরকার নির্ধারিত দামের অর্ধেকে বিক্রি হচ্ছে চামড়া

শুভদিন অনলাইন রিপোর্টার:

রাজধানীতে সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে না চামড়া। প্রতিবারের মতো এবারও ঢাকায় কোরবানির গরুর কাঁচা চামড়া মানভেদে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে বরাবরের মতো ছাগলের চামড়ায় আগ্রহ নেই ব্যাপারিদের।
শনিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর, হাজারীবাগ, শেওড়াপাড়া, মিরপুর ও সায়েন্সল্যাব ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে। বিক্রেতাদের দাবি, চামড়ার মান তুলনামূলক ভালো হলেও ন্যায্য মূল্য মিলছে না।
সরেজমিনে ঘুরে তুলনামূলক ছোট আকারের গরুর কাঁচা চামড়ার দাম সর্বোচ্চ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত হাঁকছেন ক্রেতারা। অন্যদিকে মানভেদে বেশিরভাগ গরুর চামড়ার দাম হাঁকানো হচ্ছে সর্বোচ্চ ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত।
একাধিক আড়তদার ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা এমনটাই জানিয়েছেন। তাদের ভাষ্য, না বুঝেই মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বেশি দামে চামড়া কিনে নিয়ে আসেন। তবে চামড়ার বাজার ভালো না।
রাজধানীর পুরান ঢাকার লালবাগের পোস্তা এলাকার আড়তগুলো কাঁচা চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণের অন্যতম বড় জায়গা। সরেজমিনে এখানকার কয়েকজন চামড়া ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা মানভেদে গুরুর চামড়া ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায় কিনছেন। ব্যবসায়ীদের দাবি, কাঁচা চামড়া প্রক্রিয়াজাত করতে (লবণ ও শ্রমিকের মজুরি) প্রায় ৪০০ টাকা খরচ পড়বে। বর্তমানে বাজার ভালো না হওয়ায় তাই আগেরবারের চেয়ে কিছুটা কম দামে চামড়া কিনছেন তারা।
এ বছর রাজধানীতে কাঁচা চামড়ার সর্বনিম্ন দাম ১ হাজার ৩৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া রাজধানীর বাইরে চামড়ার দাম ১ হাজার ১৫০ টাকা নির্ধারিত রয়েছে। অন্যদিকে খাসির লবণযুক্ত চামড়া ২২ থেকে ২৭ টাকা ও বকরির চামড়া ২০ থেকে ২২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর কোরবানি ঈদে ৮০ থেকে ৮৫ লাখ চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন ট্যানারি মালিকেরা। এ জন্য বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্যানারি প্রতিষ্ঠানগুলো সরাসরি কাঁচা চামড়া কিনছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান সাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, চলতি বছর চামড়ার সরবরাহ ভালো হলেও ছোট গরুর চামড়াই বেশি। তবে গত বছরের তুলনায় এবার প্রতিটি চামড়ায় ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বেশি দাম রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *