আমিরুল ইসলাম অল্ডাম, মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি :
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার চেংগাড়া গ্রামে লিপি খাতুন (২৪) নামের এক প্রবাসীর স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। প্রতিবেশীরা তার গলায় ওড়না পেঁচানাে দেখে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা জানান,লিপি আত্মহত্যা করেছে। তবে লিপির বাবার পরিবারের দাবি, লিপিকে মারধর করার পর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রেখেছিল নন্দায় ও শাশুড়ী।
বৃহস্পতিবার সকালে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এর আগে ভােরে প্রতিবেশীরা স্বামীর ঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেঁচানাে অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। দুই সন্তানের জননী লিপি চেংগাড়া গ্রামের ডাক্তার পাড়ার বাসিন্দা ও সিঙ্গাপুরপ্রবাসী উজ্জ্বল হোসেনের স্ত্রী।
লিপির বাবার পরিবারের অভিযোগ, লিপি র নন্দায় মেহেরপুর সদর উপজেলার সােনাপুর গ্রামের সামাদ আলী প্রায়ই তাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। লিপি তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ার রাতের আঁধারে নন্দায় মারধর করে। এবং গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যার চেষ্টা করে।
এদিকে,লিপির শাশুড়ীসহ পরিবারের লােকজন পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বানী ইসরাইল জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।