শুভদিন অনলাইন রিপোর্টার:
ইতিহাস বদলাতে পারলো না বাংলাদেশ। ভাঙতে পারল না লজ্জার রেকর্ড। বাড়ল অপেক্ষা, শ্রীলঙ্কায় সিরিজ জয়ের খরা হলো দীর্ঘ। অধরা রয়ে গেল শ্রীলঙ্কার মাটিতে সিরিজ জয়ের স্বপ্ন।
তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম দু’ ম্যাচ শেষে স্কোর ১-১। ফলে মঙ্গলবার (৮ জুলাই) পাল্লাকেলের ম্যাচটা রূপ নেয় অলিখিত ফাইনালে। তবে ফাইনাল জিততে পারল না বাংলাদেশ। হেরে গেছে ৯৯ রানে।
এদিন টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় স্বাগতিকেরা। কুশল মেন্ডিসের সেঞ্চুরি পেয়ে যায় বড় পুঁজিও, তুলে ৭ উইকেটে ২৮৫ রান। বড় লক্ষ্য তাড়ায় ৩৯.৪ ওভারেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
২৮৬ রানের বিশাল লক্ষ্য। জয়ের জন্য দারুণ কিছু করতে হতো ওপেনারদের। সেই উদ্দেশ্যে শুরু থেকেই দেখেশুনে খেলতে থাকেন তানজিদ তামিম ও পারভেজ ইমন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি।
তৃতীয় ওভারের শেষ বলে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। দারুণ ছন্দে থাকা তানজিদ তামিমকে ফেরান আভিষ্কা ফার্নান্দো। ১৩ বলে ১৭ করে বোল্ড হন তিনি।
তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্তও। তিন বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি। তাকেও বোল্ড করে ফেরান দুশমান্ত চামিরা। স্কোর তখন ২০/২।
আগের ম্যাচে দারুণ ব্যাট করা পারভেজ ইমন থিতু হয়ে গিয়েছিলেন, তবে পারেননি ইনিংস বড় করতে। ৪৪ বলে ২৮ করতেই শেষ হয় তার ইনিংস। আর তিন অঙ্কে যেতেই আউট হন মেহেদী মিরাজ।
বাংলাদেশ অধিনায়ক ভালোই খেলছিলেন। ছক্কা মারার চেষ্টায় ফিরেছেন ২৫ বলে ২৮ করে৷ ২১ ওভারে ১০৫ রানে চতুর্থ উইকেটের পতন হয়। পঞ্চম উইকেট আসে ২৭.১ ওভারে।
এবার ফেরেন শামীম পাটোয়ারী। ১৮ বলে ১২ করে হাসারাঙ্গার শিকার তিনি। ১২৪ হারে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর তাওহীদ হৃদয় ও জাকের আলি মিলে রান পৌঁছান দেড় শ’তে।
শুরু থেকেই দায়িত্ব নিয়ে খেলছেন হৃদয়। পেয়ে যান নবম হাফ সেঞ্চুরিও। আগের ম্যাচেও ফিফটি পাওয়ার পর রান আউট হয়ে গিয়েছিলেন। আজও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ৭৮ বলে ৫১ রান করে ফিরেছেন তিনি।
এরপর তানজিম সাকিব ৫, তাসকিন আহমেদ ১ ও তানভীর করেন ৮ রান। জাকের আলির ব্যাটে ৩৫ বলে ২৭ রান এলেও তা জয়ের সম্ভাবনাও জাগাতে পারেনি।
শ্রীলঙ্কার হতো তিনটি করে উইকেট নেন দু’ পেসার দুশমান্ত চামিরা ও আসিথা ফার্নান্দো। দু’টি করে উইকেট নেন হাসারাঙ্গা ও ভেল্লালেগে।
এর আগে, বল হাতে ৩.১ ওভারের নিশান মাদুশকাকে (১) ফিরিয়ে শুরুতেই দলকে উপলক্ষ এনে দেন তানজিম সাকিব। তবে পাওয়ার প্লেতে আর উইকেট পায়নি বাংলাদেশ।
বাংলাদেশকে আর কোনো সাফল্য পেতে দেননি পাথুম নিশানকা ও কুশল মেন্ডিস। এই দু’জনের ব্যাটে ভর করে পাওয়ার প্লের ১০ ওভারে ৫১ রান তুলে স্বাগতিকরা। তবে ১৪.৪ ওভারে ৬৯ রানে ফের উইকেটের দেখা মেলে।
নিশানকাকে পারভেজ ইমনের ক্যাচ বানিয়ে তানভীর ফেরান ৪৭ বলে ৩৫ রানে। ভাঙে ৫৬ রানের জুটি। তৃতীয় উইকেটের দেখা মেলে দলীয় ১০০ রানে। কামিন্দু মেন্ডিসকে (১৬) ফেরান মিরাজ।
তবে পরের উইকেটের জন্য বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হয় ৪০.৩ ওভার পর্যন্ত। এর আগে ৩৮ ওভারে ৬০ বলে ফিফটি পূরণ করেন আসালাঙ্কা। পূরণ হয় দলীয় দুই শ’ও। একই ওভারে ৯৫ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন মেন্ডিস।
আসালাঙ্কাকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন তাসকিন। ৬৮ বলে ৫৮ রানে আউট হোন তিনি। এরপর জানিথ লিয়ানগেকে (১২) ৪৫ ওভারের শেষ বলে মিরাজ। পরের ওভারে কুশল মেন্ডিসের উইকেটটি তুলে নেন শামীম পাটোয়ারী।
১১৪ বলে ১২৪ করে আউট হোন কুশল। এরপর দুনিথ ভেল্লালেগেকে ৬ রানে ফেরান তাসকিন। তাতে ৪৭ ওভারে ২৫৯ রানে ৭ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। শেষ দিকে হাসারাঙ্গা ১৪ বলে ১৮ ও চামিরা অপরাজিত থাকেন ১০ রানে।