নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে দাপুটে জয়ে সিরিজ বাংলাদেশের

শুভদিন অনলাইন রিপোর্টার:

নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও দাপুটে জয় পেলো বাংলাদেশ। এতে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয় নিশ্চিত হলো টাইগারদের। একাদশে ফিরেই দুর্দান্ত বোলিং করলেন নাসুম আহমেদ। এ ছাড়া মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদের দাপুটে বোলিংয়ে ডাচ্‌দের অল্পতেই আটকে রাখে লিটন কুমার দাসের দল। এরপর পারভেজ হোসেন ইমনের ক্যামিও ও তানজীদ হাসান তামিমের ফিফটিতে সহজ জয় পায় স্বাগতিকরা।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গতকাল সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে নেদারল্যান্ডসকে ৯ উইকেটে হারায় বাংলাদেশ। টস হেরে আগে ব্যাটিং করে ১৭.২ ওভারে ১০৩ রানে গুটিয়ে যায় নেদারল্যান্ডস। জবাবে ১ উইকেট হারিয়ে ১৩.১ ওভারে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা। এই জয়ে ৩ ম্যাচের সিরিজ ১ ম্যাচ হাতে রেখে জিতলো বাংলাদেশ। সিরিজের প্রথম ম্যাচ ৩৯ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখে জিতেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচটি বাংলাদেশ জিতলো আরও বড় ব্যবধানে- ৪১ বল ও ৯ উইকেট হাতে রেখে। অব্যবহৃত বলের হিসেবে যা বাংলাদেশের তৃতীয় বড় জয়, উইকেটের হিসেবে দ্বিতীয় বৃহত্তম জয়। শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের পর নেদারল্যান্ডস, লিটনরা টানা তৃতীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতলেন।
রান তাড়ায় এদিন বাংলাদেশকে ঝড়ো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার ইমন ও তামিম। শুরুতে তামিম কিছুটা অস্বস্তিতে থাকলেও ইমন শুরু থেকেই আক্রমণ করেন ডাচ্‌ বোলারদের। আরিয়ান দত্তের করা প্রথম ওভারে মাত্র ১ রান তুলতে পেরেছিল বাংলাদেশ। তবে কাইল ক্লাইনের করা দ্বিতীয় ওভারে ১৩ রান তুলে সেটি পুষিয়ে নেয় স্বাগতিকরা। পরের দুই ওভারে আসে আরও ১৮ রান। চতুর্থ ওভারের শেষ বলে ছক্কা মেরে টি-টোয়েন্টিতে এক পঞ্জিকাবর্ষে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ছক্কার রেকর্ড গড়েন ইমন। এ বছর এই বাঁহাতির এটি ২২ নম্বর ছক্কা। এই ম্যাচের আগে ২১ ছক্কা নিয়ে তাওহীদ হৃদয় (২০২৪), জাকের আলী (২০২৪) ও তানজীদ হাসানের সঙ্গে রেকর্ডটা ভাগাভাগি করছিলেন ইমন।
পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারে একমাত্র উইকেট হারায় বাংলাদেশ, ফেরেন ইমন। ২১ বলে ২৩ রান করেছেন বাংলাদেশ ওপেনার। ইমন ফেরার ৩ ওভার পরই তার রেকর্ডে ভাগ বসান তামিম। ম্যাক্স ও’দাউদকে মাথার উপর দিয়ে হাঁকান চলতি বছরে নিজের ২২তম ছক্কা। আরও তিন ওভারে ইমনকেও ছাড়িয়ে যান তামিম। ১২তম ওভারে হাঁকান চলতি বছরে নিজের ২৩তম ছক্কা। রেকর্ড ভাঙা ছক্কাটি তানজিদ মেরেছেন ম্যাক্স ও’দাউদকে মিড উইকেট দিয়ে। ১৩তম ওভারে দ্বিতীয় বলে ১ রান নিয়ে ফিফটি পূর্ণ করেন তামিম। টি-টোয়েন্টিতে এটা তার ষষ্ঠ ফিফটি। ওভারের চতুর্থ বলে চার মেরে বাংলাদেশকে ১০০ এনে দেন লিটন দাস। পরের ওভারেই জয় পায় বাংলাদেশ।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় নেদারল্যান্ডস। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে বল হাতে নিয়েই ২ উইকেট তুলে নেন নাসুম আহমেদ। প্রথম পাওয়ার প্লেতেই বাংলাদেশ ৪ উইকেট তুলে নেয়, তখন নেদারল্যান্ডসের স্কোরবোর্ডে জমা হয়েছে ৪০ রান। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি তারা। একপর্যায়ে দলটির দলীয় রান ১০০ হবে কিনা সেটা নিয়েও শঙ্কা ছিল। তবে শেষদিকে ৩০ রান করে দলের রান ১০০ রান পার করান আরিয়ান দত্ত। শেষ পর্যন্ত তারা অলআউট হয় ১০৩ রানে। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটাই সর্বনিম্ন দলীয় ইনিংস। এর আগে এই রেকর্ড ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত ও আফগানিস্তানের। ২০১৪ বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আরব আমিরাত ৯ উইকেটে করে ১১৬ রান। ২০২৩ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে আফগানিস্তান ১১৬ রান করে ৭ উইকেটে। বাংলাদেশের বিপক্ষেও এটি নেদারল্যান্ডসের সর্বনিম্ন দলীয় রান। আগেরটা ছিল ১৩১।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *