আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
অস্ট্রেলিয়া ও তুরস্ক শুক্রবার আগামী বছরের জাতিসংঘ জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য একটি চুক্তি চূড়ান্ত করেছে। এই চুক্তির মধ্য দিয়ে জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের ব্যাপারে দীর্ঘদিন ধরে যে অচলাবস্থা চলছিল, তার অবসান ঘটল।
খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
দুই দেশের মধ্যে অসাধারণ সমঝোতা হয়েছে। তুরস্ক সম্মেলন আয়োজন করবে এবং অস্ট্রেলিয়া আনুষ্ঠানিক আলোচনার তত্ত্বাবধান করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ব্রাজিলে কপ-৩০ শীর্ষ সম্মেলনে সর্বসম্মতিক্রমে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন নিয়ে অস্ট্রেলিয়া ও তুরস্কের মধ্যে কয়েকদিন ধরে রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর, বেলেমের রেইনফরেস্ট শহরে দেশ দুটির মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
এই চুক্তির মাধ্যমে কপ-৩১ আয়োজনকে ঘিরে অস্ট্রেলিয়া ও তুরস্ক টানাপোড়েনের অবসান হলো।
জাতিসংঘের নিয়ম অনুযায়ী, সম্মতিমূলক সিদ্ধান্ত প্রয়োজন হলেও, ২০২৬ সালের নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠেয় কপ-৩১ সম্মেলন আয়োজনের বিষয়টি ঘিরে অস্ট্রেলিয়া ও তুরস্কের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা তৈরি হয়।
উভয় দেশই আয়োজক হতে আগ্রহী ছিল এবং কেউই অবস্থান থেকে সরতে চায়নি, ফলে বিরল এক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অস্ট্রেলিয়া তুলনামূলকভাবে বেশি সমর্থন পেলেও, দুই দেশের অনড় অবস্থানের কারণে দীর্ঘদিন ধরে সিদ্ধান্ত আটকে ছিল।
শেষ পর্যন্ত একটি সমঝোতায় পৌঁছানো সম্ভব হয়।
সমঝোতা অনুযায়ী, মেডিটেরেনিয়ান উপকূলে অবস্থিত তুরস্কের পর্যটননগরী অ্যান্টালিয়া কপ-৩১-এর আয়োজক শহর হবে এবং তুরস্কই আনুষ্ঠানিকভাবে কপ-৩১-এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করবে।
অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়া সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে এবং প্রায় ২০০ দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সমঝোতা গড়ে তোলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ আলোচনাগুলো অস্ট্রেলিয়াই পরিচালনা করবে।
বিশ্বব্যাপী জলবায়ু সংকট মোকাবিলার এ গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনকে সফল করতে দুই দেশের এই সমঝোতা আয়োজন প্রক্রিয়াকে নতুন গতি দিয়েছে।
তুরস্ক ও অস্ট্রেলিয়া ২০২৬ সালের নভেম্বরে কপ-৩১ আয়োজনের চেষ্টা করেছিল এবং কেউই পিছু হটেনি, যার ফলে একটি দরপত্র যুদ্ধ শুরু হয়। বার্ষিক এই জলবায়ু সম্মেলনের জন্য এ ধরনের পরিস্থিতি খুব কমই দেখা যায়।