শুভদিন অনলাইন রিপোর্টার:
গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে একটি বাড়িতে আগুন লেগে কমপক্ষে ৭৬ জনের মৃত্যু ঘটেছিল। ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার কর্মকর্তারা অবশেষে জানতে পারলেন এই ভয়ংকর ঘটনার নেপথ্য কাহিনী । সেই ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করলো পুলিশ।
নিজের অপরাধ ঢাকতে বাড়িটিতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলো সে। তার হাতে খুন হওয়া এক ব্যক্তির দেহ পুড়িয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যেই সে গোটা বাড়িটিতে আগুন দিয়ে ৭৬ মানুষকে হত্যা করে। এছাড়াও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ৮৬টি হত্যা চেষ্টার অভিযোগও আনা হয়েছে। আগামী মাসে জামিন শুনানি না হওয়া পর্যন্ত তাকে পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়া হয়। কারাগারে তার সম্ভাব্য যাবজ্জীবন সাজা হতে পারে। দক্ষিণ আফ্রিকায় মৃত্যুদণ্ড নেই। প্রসিকিউটররা বলেছেন, সন্দেহভাজন ব্যক্তি, সিথেম্বিসো লরেন্স মোডলালোস, একটি লিখিত স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
গত আগস্টে জোহানেসবার্গের একটি সেন্ট্রাল অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৭৬ জন নিহত এবং আরও কয়েক ডজন আহত হওয়ার জন্য তিনি দায়ী বলে তদন্তে চমকপ্রদ দাবি করার পর মোডলালোসকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বলেন, ভবনের বেসমেন্টে নিহত এক ব্যক্তির লাশ লুকানোর চেষ্টাকালে তিনি আগুন দেন। ওই ব্যক্তিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তার শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন মোডলালোস।
জানা গেছে, বাড়িটি আগে ছিল কৃষ্ণাঙ্গবিদ্বেষী দক্ষিণ আফ্রিকার (১৯৪৮ থেকে ১৯৯৪ সাল) একটি অফিস। পরে তা এক নারীর হেফাজতে যায়। আরও পরে তার কাছ থেকে একরকম ছিনিয়ে নিয়ে নেয়া হয় বাড়িটি। বাড়িটি ক্রমে পরিণত হয় যত সব অসামাজিক কাজকর্মের আঁতুড়ঘরে।
২০২৩ সালের ৩১ আগস্ট পাঁচতলা বিল্ডিংয়টিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার দিন বাড়িটিতে যারা ছিলেন তাদের অধিকাংশই প্রতিবেশী দেশের। ফলে তাদের শনাক্ত করাও যায়নি। প্রসিকিউটররা বলেছেন যে, তদন্তে মোডলালোস-এর স্বীকারোক্তি ব্যবহার করা যাবে না কারণ চলমান তদন্ত একটি ফৌজদারি প্রক্রিয়া নয়। তারা বলেছে যে, সে বিচারকের সামনে লিখিত স্বীকারোক্তি দিয়েছে।
সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান