শুভদিন অনলাইন রিপোর্টার:
নির্বাচনী হলফনামায় দেওয়া সম্পদের হিসাবে এমপিদের চেয়ে এগিয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানরা। পাঁচ বছরে অস্থাবর সম্পদ বৃদ্ধিতে একজন উপজেলা চেয়ারম্যানের সম্পদ বৃদ্ধির হার ৪ হাজার ২০০ শতাংশের বেশি। আর সংসদ সদস্যদের সম্পদ বৃদ্ধির হার ছিল সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৬৫ শতাংশ।
আজ সোমবার ধানমন্ডির ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) কার্যালয়ে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানানো হয়। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২০২৪-এর প্রথম ধাপের প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণের তথ্য তুলে ধরতে টিআইবি আজ সোমবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে সংস্থাটির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে।
টিআইবি জানিয়েছে, চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ১১৭ জন কোটিপতি। যেখানে ৫৬০ চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ৯৪ জন কোটিপতি। এ ছাড়া ৬১১ ভাইস চেয়ারম্যানের মধ্যে ১৭ জন ও ৪৩৫ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের মধ্যে ৬ কোটিপতি প্রার্থী এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২০২৪-এর প্রথম ধাপের প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণের তথ্য তুলে ধরতে টিআইবি আজ সোমবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে সংস্থাটির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ১১৭ জন কোটিপতি। যেখানে ৫৬০ চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ৯৪ জন কোটিপতি। এ ছাড়া ৬১১ ভাইস চেয়ারম্যানের মধ্যে ১৭ জন ও ৪৩৫ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের মধ্যে ৬ কোটিপতি প্রার্থী এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সংস্থাটি বলছে, রাজনীতিতে ব্যবসায়ীদের প্রাধান্য কিংবা আগমন যে বাড়ছে সেটি এই নির্বাচনের বেলায় চোখে পড়ে। পেশা হিসেবে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের ৭০ শতাংশই ব্যবসায়ী, ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের প্রায় ৬৭ শতাংশ ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের ২৪ শতাংশ ব্যবসাকে পেশা হিসেবে দেখানো হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. মো. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, হলফনামায় পাওয়া তথ্যগুলো অবাক করে, বিস্মিত হওয়ার মতো। উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের অনেকের সম্পদের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি দেখা গেছে। এখন এটি বৈধ নাকি অবৈধ সেটি বলার দায়িত্ব আমাদের না। এজন্য নির্ধারিত সংস্থা আছে, তারা খতিয়ে দেখবে।
সংবাদ সম্মেলনে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৫২টি উপজেলার মধ্যে ১৪৪টি উপজেলার প্রার্থীদের হলফনামা নির্বাচন কমিশন প্রকাশ করেছে। সেগুলোর বহুমাত্রিক বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য বের করা হয়েছে।
তৌহিদুল ইসলাম আরও বলেন, ‘প্রথম ধাপেই চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৬ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। আমরা দেখেছি, প্রথম ধাপে প্রথম পর্বে মন্ত্রী-এমপিদের ১৩ জন স্বজন নির্বাচন করছেন।’