গাংনীতে উপজেলা নির্বাচন থেকে এবার সরে দাঁড়ালেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামীলীগ নেতা এ্যাড.শফিকুল আলম

মেহেরপুর প্রতিনিধি:
গাংনীতে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর হিড়িক চলছে। ‘মন্ত্রী এমপিদের টাইট দিয়ে আমি নির্বাচনে এসেছি’ নির্বাচনী গণসংযোগে এমন কথা বলার একদিন পর সকালে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষনা দিলেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আওয়ামীলীগ নেতা, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক এ্যাড.একেএম শফিকুল আলম। একেএম শফিকুল আলম গাংনী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
মঙ্গলবার (১৪ মে) সকাল ১১ টার সময় স্থানীয় সাংবাদিক ও নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে তাঁর গাংনী সরকারী ডিগ্রী কলেজ পাড়ার নিজ বাস ভবন প্রাঙ্গন থেকে নির্বাচনী প্রচারণার ক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের লড়াই করতে সাহস পেলেও রাজনৈতিক সিন্ডিকেটের সাথে লড়াই করা সম্ভব না বলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষনা দেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী কাপ পিরিচ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী এ্যাড. এ তার একেএম শফিকুল আলম বক্তব্যে বলেছেন,নির্বাচনে রাজনৈতিক সিন্ডিকেটের কারনে তিনি ভোটের লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। এই নির্বাচনে যে সমস্ত নেতাকর্মী সমর্থক ভাই ও বোনেরা আমাকে সমর্থন জানিয়ে আসছেন তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, পাশাপাশি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য যে কষ্ট পেয়েছেন তার জন্য আপনাদের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি।সিন্ডিকেট নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এ্যাড. শফিকুল আলম আরও বলেন, আমার অতীত অভিজ্ঞতায় এরকম সিন্ডিকেটের সাথে পরিচিত নই। তাই আমি ভোটের লড়াইয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সাহস পেলেও সিন্ডিকেটের সাথে লড়তে পারবো না।
তিনি আরও বলেন,ভোটের মাঠ থেকে সরে গেলেও আমি আপনাদের সাথে ছিলাম আগামীতেও একসাথে সকল অশুভ সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রামে থাকবো ইনশাল্লাহ।
এসময় জেলা ও উপজেলার আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দের মধ্যে,জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য আব্দুল মান্নান মাষ্টার, শহিদুল ইসলাম সাহ, এ্যাড. শফিকুল আলমের ভাই বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ইছারউদ্দীন , সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মুন্তাজ আলী, সহকারী অধ্যাপক মুরাদ হোসেন,আব্দুল ওয়াদুদ,ডুবলীগ নেতা আমজাদ হোসেন, আব্দুল বারীসহ সকল ইউনিয়ন পর্যায়ের সভাপতি সেক্রেটারী সহ অসংখ্য নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, একই কারন দেখিয়ে গত রোববার বিকেলে দোয়াত কলম প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাবেক এমপি পত্মী লায়লা আরজুমান বানু শিলা নির্বাচন থেকে সরে দাাঁড়িয়েছেন। সোমবার সকালে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোটর সাইকেল মার্কার প্রার্থী যুবলীগ নেতা মোশাররফ হোসেন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সরে দাঁড়িয়েছেন।
একই ভাবে চশমা প্রতীকের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রেজাউল করীমও নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষনা দিয়েছেন।
এনিয়ে গাংনী উপজেলা সহকারী রির্টানিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা জানান, প্রার্থীতা প্রত্যাহারের আর কোন সুযোগ নেই। তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করলেও নির্বাচনে এবং ব্যালট পেপারে তার প্রতীক থাকবে।

Related posts

Leave a Comment