শুভদিন অনলাইন রিপাের্টার:
সম্প্রতি চ্যানেল আইয়ে সম্প্রচারিত ‘মেট্রোসেম টু দ্য পয়েন্ট’ টকশো অনুষ্ঠানের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। কোটাবিরোধী আন্দোলন নিয়ে এই টকশোটি আলোচনায় থাকার যতগুলো কারণ রয়েছে, উপস্থাপিকাই সব বিষয়কে ছাপিয়ে গেছেন।
ফলে অনুষ্ঠানটির উপস্থাপিকা দীপ্তি চৌধুরী এখন প্রশংসায় ভাসছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার প্রশংসা করে অনেকেই স্ট্যাটাস দিচ্ছেন।
প্রায় ৪৯ মিনিট পর্বের এই টক শোতে শুরু থেকেই বেশ বুদ্ধিদীপ্ত আলোচনা, উপস্থাপনা, ধৈর্য ও বাচনভঙ্গির কারণে প্রশংসায় ভেসেছেন দীপ্তি চৌধুরী।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়েছে অনুষ্ঠানের বিভিন্ন ছোট ছোট ক্লিপ। যেখানে নেটিজেনদের মুখেও শোনা যাচ্ছে, দীপ্তির ভুয়সী প্রশংসা।
সম্প্রতি চ্যানেল আইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেদিনের টক শো নিয়ে কথা বলেছেন এই উপস্থাপিকা। যেখানে তিনি বলেছেন, সেদিনের টক শোতে আলাদা কিছু করেননি। মানুষের প্রতি ও পেশার প্রতি দায়বদ্ধতাটুকুই পালন করেছেন।
দীপ্তি বলেন, যখন আমি সঞ্চালকের চেয়ারে বসি, তখন অতিথিকে সম্মান করে জনগণ ও দর্শক যে প্রশ্নটি করতে চায় সেই কাজটিই করার চেষ্টা করি। সেদিনও তাই করেছি। এটাই হয়তো মানুষ ভালোভাবে নিয়েছে। সবাই প্রশংসা করছে। তবে আমি খুব মহান কিছু করিনি।’
তবুও যারা তার এই পর্বটি বা যে কোনও পর্ব দেখে প্রশংসা করেছেন তাদের প্রতি ভালোবাসা জানিয়েছেন দীপ্তি।
এদিকে সেদিন সাবেক বিচারপতির সঙ্গে যে বাহাস হলো সেটি প্রসঙ্গে দীপ্তি বলেন, ‘আমার বাসায় কিংবা অনুষ্ঠানে, যে মানুষটি অতিথি হয়ে আসেন, তিনি আমার জন্য সর্বোচ্চ সম্মানিত ব্যক্তি। তাকে আমি সর্বোচ্চ সম্মান দেওয়ার চেষ্টা করি। এক্ষেত্রে তার আচরণ আমাকে কখনও প্রভাবিত করে না, করেনি। সবসময় চেষ্টা করি আমি যেন নিজের জায়গাতে ঠিক থাকতে পারি। সেদিনও চেষ্টা করেছি। পেরেছি কি না জানি না।’
পুরো অনুষ্ঠানে নিজের ধৈর্য্য নিয়ে বেশ প্রশংসায় ভেসেছেন এই উপস্থাপিকা। এ বিষয়ে তার ভাষ্য, ‘ধৈর্য্য ধরা কিন্তু আমি বোল্ড নই কিংবা শক্তিশালী নই, তা কিন্তু নয়। বরং আমার মনে হয়েছে, শক্তিশালী কথা চিৎকার করে না বললেও সেটা শক্তিশালী। আর যদি কথাটি দূর্বল হয়, তাহলে চিৎকার করলেও সেটা দূর্বলই থেকে যায়।’
ভাইরাল হওয়া প্রসঙ্গে দীপ্তি বলেন, ‘পর্বটি প্রচার হওয়ার পর আমি অনেক ফোনকল পেয়েছি, মেসেজ পেয়েছি। সবার উত্তর দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে সকলের প্রতি ভালোবাসা জানাতে চাই।’
দীপ্তি চৌধুরী বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞানের বিভাগের শিক্ষার্থী। উপস্থাপনা ছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে তরুণ উন্নয়নকর্মী হিসেবে জাতীয় আন্তর্জাতিকভাবে কাজ করছেন।