গাংনীর কুতুবপুর স্কুল  এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও সাবেক সভাপতির বিরুদ্ধে অবৈধ  নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগে তদন্ত শুরু

মেহেরপুর প্রতিনিধিঃ
গাংনীর কুতুবপুর স্কুল  এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও সাবেক সভাপতি
মিজানুর রহমান রানার বিরুদ্ধে অবৈধ ভাবে  নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগে তদন্ত শুরু।
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার  কুতুবপুর স্কুল এন্ড  কলেজের  ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাফিজুল
ইসলামের  পদত্যাগ  ও বিদ্যালয়ের  সহকারী শিক্ষক রেজাউর রহমান রেজা,  সাবেক সভাপতি
মিজানুর রহমান রানার বিরুদ্ধে  ক্ষমতার অপব্যবহার করে  অবৈধ নিয়োগ বানিজ্যের
অভিযোগ উঠেছে।
সাবেক প্রধান শিক্ষক সুন্নত আলীর  অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত নেমেছেন ইউএনও গঠিত তিন
সদস্যের তদন্ত টিম।
আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে  গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি  ও
উপজেলা  মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক
সুপারভাইজার   কুতুবপুর স্কুল এন্ড কলেজে গিয়ে তদন্ত শুরু করেন।
ভুক্তভোগী  সাবেক প্রধান শিক্ষক সুন্নত আলী, ও স্থানীয় বাসিন্দা রহিদুল ইসলাম, সাবেক শিক্ষক
মফিজুল হক   বলেন, স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাফিজুল ইসলাম  সহকারী শিক্ষক
রেজাউর রহমান রেজা, স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আমানুল্লাহ
ও বিদ্যালয়ের  সভাপতি কাথুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান  আওয়ামীলীগ নেতা মিজানুর
রহমান রানার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন ।
সরকারী নির্দেশ উপেক্ষা করে বিদ্যালয়ের আওয়ামীলীগের  ক্ষমতার বলে টাকার বিনিময়ে
গোপনে  প্রত্যারনার মাধ্যমে  সাবেক প্রধান শিক্ষককে স্কুল থেকে অবৈধভাবে  বের করে
দেওয়ার অভিযোগ করেছেন । এছাড়াও  সহকারী বাংলা বিভাগের শিক্ষক মফিজুল হকে বের
করে দিয়ে  মিজানুর রহমান রানা  তার অনগত সহকারী শিক্ষকদের অবৈধভাবে নিয়োগ
দিয়েছেন। ২০১৩  সালে  স্কুলে সভাপতি হওয়ার পর থেকে   ভুয়া নিয়োগের মাধ্যমে  কোটি
টাকা বানিজ্য করেছেন তিনি।

ভুক্তভোগীরা  আরও জানান, কুতুবপুর স্কুল এন্ড কলেজের  ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক  নিজের
আধিপত্য বিস্তার ও আওয়ামী লীগ নেতা কাথুলী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের সঙ্গে
নিয়ে দূর্নীতি করে আসছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা কামরুল হোসেন বলেন, কাথুলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান
দির্ঘদিন থেকে এলাকার বিদ্যালয়গুলোতে তার আধিপত্য বিস্তার করে রেখেছে। এতে করে শিক্ষা
কার্যক্রম একেবারে ভেঙ্গে পড়েছে। শামছুল হুন্দা বিশ্বাসসহ গাড়াবাড়িয়া গ্রামের শতাধিক মানুষ
উপস্থিত ছিলেন।
এব্যাপারে কুতুবপুর মাধ্যমিক  বিদ্যালয়ের  ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাফিজুল  ইসলাম জানান,
আমি ২০১৯ সালে স্কুল এন্ড কলেজ   যোগদান করেছি। এই সকল ঘটনা আমার আসার আগে
ঘটেছে। নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি শুনেছি। আর্থিক  লেনদেনের  বিষয়টি গোপনীয় আমি কিছু
বলতে পারবো না। স্কুল এন্ড কলেজ আগে থেকে মিজানুর রহমানের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। তিনি
এলাকার প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা।
এব্যাপারে গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ হোসনে  মোবারক হোসেন
জানান,সাবেক প্রধান শিক্ষকের  লিখিত  অভিযোগের ভিত্তিতে আমারা তদন্ত শুরু করেছি।
এছাড়াও নিয়োগ বানিজ্যের বিয়ষটি মৌখিক ভাবে শুনেছি। অভিয়োগ পেলে তদন্ত করে
আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এব্যাপারে গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার( ভূমি) মোঃ সাদ্দাম হোসেন  জানান, সাবেক
প্রধান শিক্ষক সুন্নত আলীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা তদন্ত শুরু করেছি। তদন্ত শেষ
না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাবে না।

Related posts

Leave a Comment