শুভদিন অনলাইন রিপোর্টার:
ফ্লাইটের মধ্যপথে মারা গেলেন তার্কিশ এয়ারলাইন্সের পাইলট। প্রথমে মনে করা হয়েছিল তিনি ঘুমিয়ে পড়েছেন বা অচেতন হয়ে পড়েছেন। তাকে জাগানোর চেষ্টা করা হলো। কিন্তু তিনি তাতে সাড়া দিলেন না। ফলে ওই বিমানটিকে জরুরি ভিত্তিতে অবতরণ করানো হয় নিউ ইয়র্কে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন নিউ ইয়র্ক টাইমস।
এতে বলা হয়, সিয়াটল থেকে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে যাচ্ছিল বিমানটি। কিন্তু ৯ই অক্টোবর বুধবার সকালে নিউ ইয়র্কে জন এফ কেনেডি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে তা জরুরি অবতরণ করানো হয়। ফ্লাইট অ্যাওয়ার-এর ডাটা অনুাযায়ী স্থানীয় সময় ৮ই অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টা ২ মিনিটে এয়ারবাস এ৩৫০ উড্ডয়ন করে। এতে পাইলট ছিলেন ইলসেহিন পেহলিভান। কিন্তু ফ্লাইট আকাশে উঠার পর তিনি চেতনা হারিয়ে ফেলেন। তাকে জাগানোর বহু চেষ্টা করা হলো। কিন্তু সফল হলেন না কেউই। এমন অবস্থায় বিমানটি প্রায় আট ঘন্টা আকাশে থাকার পর জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে অবতরণের সিদ্ধান্ত হয়। ঘটনার সময় ফ্লাইট ২০৪-এর বিমানটি ছিল কানাডার উত্তরাঞ্চলে বাফিন দ্বীপের ওপর। সেখান থেকে বিমানটি দ্রুত ডানদিকে মোড় নেয়। ছুটতে থাকে নিউ ইয়র্কের উদ্দেশে। অবশেষে স্থানীয় সময় বুধবার সকাল ৫টা ৫৭ মিনিটে তা অবতরণ করে।
বিমান সংস্থাটি পাইলট পেহলিভানের মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ বলতে পারেনি। তারা জানিয়েছে তার নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। গত মার্চ মাসেও পরীক্ষা হয়েছে। কিন্তু কোনো সমস্যা পাওয়া যায়নি।
তারা আরও জানিয়েছে, ওই বিমানের যাত্রীদেরকে অন্য ফ্লাইট ব্যবহার করে ইস্তাম্বুলে নেয়া হবে। এক বিবৃতিতে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল বেসামরিক বিমান চলাচল প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ। তারা বলেছে, একজন পাইলট মেডিকেল ইমার্জেন্সিতে পড়েছিলেন। তারা আর কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে রাজি হয়নি।