তেঁতুলিয়ায় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোজাম্মেলের ক্যাম্পেইন ও লিফলেট বিতরণ

মুহম্মদ তরিকুল ইসলাম, পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নে চলতি রোপা আমন ধানের বাদামি গাছ ফড়িং (বিপিএইচ) দমন ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে কৃষক উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে ক্যাম্পেইন ও লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকালের দিকে উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চত্ত্বরে এই ক্যাম্পেইন ও লিফলেট বিতরণ করেন ওই ইউনিয়নে দায়িত্বরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক। এরপর কাটাপাড়া হয়ে বুড়াবুড়ি নামক এলাকায় ক্যাম্পেইন ও লিফলেট বিতরণ করা হয়।
এ সময় ইউপি সদস্য মো. আতাউর রহমান, সাংবাদিক তরিকুল ইসলাম, গ্রাম পুলিশসহ বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা কৃষক-কৃষাণী গণ উপস্থিত ছিলেন।
উক্ত ক্যাম্পেইন ও লিফলেট বিতরণে মোজাম্মেল হক বলেন, বাদামী গাছ ফড়িং খুবই ছোট আকারের পোকা প্রায় ৪ মিঃ মিঃ লম্বা ও বাদামী রঙের হয়। পূর্ণ বয়স্ক স্ত্রী ফড়িং পাতার খোল, পাতা ও পাতার মধ্য শিরার ভিতরে ডিম পাড়ে। ৭-৯ দিনের মধ্যে ডিম থেকে বাচ্চা (নিম্ফ) বের হয়। বাচ্চাগুলো ৫ বার খোলস বদলায়। বাচ্চা গুলো প্রথম পর্যায়ে সাদা রঙের হয় ও পরে বাদামী রং ধারণ করে। বাচ্চা থেকে পূর্ণ বয়স্ক ফড়িং এ পরিণত হতে আবহাওয়া ভেদে ১৪-১৬ দিন সময় লাগে। এক জোড়া পোকা ৩-৪ প্রজন্মে প্রায় ৩৫ লক্ষ পোকার জন্ম দেয় এবং ৫০ মাইল পথ অতিক্রম করতে পারে। এই পোকা শরীরের ওজনের তুলনায় ১০-১২ গুন বেশী খায়। বীজ তলা থেকে শুরু করে পরিপক্ক হওয়া পর্যন্ত যে কোন সময় এ পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। তবে কাইচথোর বের হওয়ার শুরু থেকে আক্রমণ বেড়ে যায়। এছাড়াও বাদামি গাছ ফড়িং আক্রমণের লক্ষণ ও দমন নিয়ে আলোচনা করেন।

 

Related posts

Leave a Comment