বাংলাদেশ বিমানে নেই বাংলাদেশী সিনেমা

শুভদিন অনলাইন রিপোর্টার:

বাংলাদেশ বিমান। তাতে চলে বিদেশী সিনেমা, কিন্তু নেই বাংলাদেশী কোনো সিনেমা। বিষয়টি অবাক করার মতো হলেও সত্যি। এমনটাই ঘটে যাচ্ছে বছরের পর বছর। আর এ বিষয়টি নিয়ে এবার একটি ফেসবুক পোষ্টের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি মনে করিয়ে দিলেন নির্মাতা-প্রযোজক জসিম আহমেদ।
তিনি এক পোস্টে লিখেন, বিজি ২০১, বোয়িং ৭৮৭। বাংলাদেশ বিমানের অচিন পাখি। গন্তব্য লন্ডন। শুক্রবার সিলেট থেকে টেক অফ এর পর লম্বা একটা ঘুম দিলাম, প্রায় অর্ধেক পথ। এর পর ভাবলাম একটা সিনেমা দেইখা আবারো ঘুমাবো। ড্রিম লাইনারের ভিডিও লাইব্রেরিতে ঢুকে মাথায় আগুন ধরে গেলো। ন্যাশনাল ফ্ল্যাগ ক্যারিয়ারের এন্টারটেইনমেন্টের এ কি অবস্থা! নতুন পুরাতন ইংলিশ সিনেমা আছে। থাকতেই হবে, যেহেতু আন্তর্জাতিক রুটের ফ্লাইট। আছে জাপানিজ ও হিন্দি সিনেমা। পেলাম কলকাতার কয়েকটা নিম্নমানের বাংলা ছবিও।
বিগত কয়েক বছরে যেহেতু দেশের ইন্ডিপেন্ডেন্ট পরিচালকদের দুনিয়াজুড়ে প্রশংসিত সিনেমা আছে। আছে বাণিজ্যিকভাবে সফল ছবিও। কোন একটা ছবি দেখার প্রত্যাশায় হারিকেন-লন্ঠন দিয়া বাংলাদেশী ছবি খুঁজতে শুরু করলাম। দুঃখজনক হলেও বাস্তবতা হলো একটা বাংলাদেশী সিনেমাও না পাইয়া আহত হইয়া চিফ পার্সারকে ডেকে জিজ্ঞাসা করলাম এর কারন কি? তার কথাও শরিরী ভাষায় বুঝলাম এটা হেড অফিসের অন্য ডিপার্টমেন্টের দায়িত্ব। আমিও তাই জানি। তবে তিনি কাস্টমার ফিডবেকের একটা খোলা ফর্ম হাতে ধরাইয়া দিলেন। সেখানে মন্তব্যের ঘরে আমি যা লিখছি তা হুবহু তুলে দিলাম।
জসিম আহমেদ এই ফর্মে লিখেছেন, খুবই হতাশ হলাম। কে বা কারা ইনফ্লাইট এন্টারটেইনমেন্টের দায়িত্বে আছেন জানি না। সিনেমা খুঁজতে গিয়ে দেখলাম নিম্নমানের ভারতীয় বাংলা সিনেমা আছে। আছে হিন্দি, ইংলিশ এবং জাপানিজ সিনেমাও, অথচ আমার দেশের ন্যাশনাল ফ্ল্যাগ ক্যারিয়ারে খুঁজে পেলাম না বাংলাদেশের একটি সিনেমাও। অথচ বিগত কয়েক বছরে দুনিয়া জুড়ে পুরস্কার জেতা অসংখ্য সিনেমা আছে দেশীয় নির্মাতাদের। আমার মনে হয়েছে, বিমানের সিদ্ধান্ত গ্রহীতারা ভারতীয়। এটা লজ্জার। জসিম পরে পোস্টে লিখেন, জানি না আমার এ মন্তব্য এমডি-সিইও বরাবর পৌঁছাবে কি না। তবে রেকর্ড স্বরূপ এইটা কমেন্টে রেখে দিলাম।

Related posts

Leave a Comment