চেক জালিয়াতির মামলায় ৮ মাস জেল-জরিমানা, আসামী পলাতক !

আমিরুল ইসলাম অল্ডাম, মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি :

চেক জালিয়াতির মামলায় পলাতক আসামী আমিরুল ইসলামের ৮ মাস বিনাশ্রম কারাদন্ডসহ ও চেকে উল্লেখিত টাকার সমপরিমান ৫ লাখ টাকা অর্থদন্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। মেহেরপুরের যুগ্ম দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক মো. শাহিনুর রহমান ১৪/০৭/২০২৪ ইং তারিখে এ রায় প্রদান করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের অভিযোগের সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, গাংনী উপজেলার ভোমরদহ গ্রামের মৃত দবিরউদ্দীনের ছেলে আসামী মো.
আমিরুল ইসলাম ( মেহেরপুরের ক্যাশব পাড়া তেল পাম্পের পার্শ্বে বসবাস করার পর বর্তমানে মেহেরপুরের হঠাতপাড়ায় বসবাস
করছে) বিগত ২৫/০১/২০২২ ইং তারিখে নালিশ কারী একই গ্রামের হাফিজুল ইসলামের নিকট থেকে জনতা ব্যাংক লিঃ , বামন্দী শাখা , মেহেরপুরের অনুকুলে ৫ লাখ টাকার একটি চেক প্রদান করেন। উক্ত চেক নালিশকারী ১৭/০৫/২০২২ ইং তারিখে নগদায়ন করতে গেলে ব্যাংকে অপর্যাপ্ত তহবিল থাকায় চেকটি ডিজঅনার হয়। ফলে ১৮/০৫/২০২২ ই! নালিশকারী তার নিযুক্ত বিজ্ঞ আইনজীবীর মাধ্যমে আসামীর ঠিকানায় লিগ্যাল নোটিশ পাঠায়। কিন্তু নোটিশ আসামী গ্রহন না করায় ফেরত আসে।আসামী বাদীর টাকা পরিশোধ না করায় ১৮৮১ সালের আইনের ১৩৮ ধারায় আসামীর বিরুদ্ধে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেন।
পরে অভিযোগের সত্যতা থাকায় অভিযোগটি আমলে নিলে আসামী আদালতে হাজির হয়ে জামিন লাভ করে। এমতাবস্থায় মামলাটি মাননীয় দায়রা জজ আদালতে প্রেরণ করা হয়।
আসামী স্বাক্ষীর সাক্ষ্য মতে ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারার বিধানমতে পরীক্ষা করা হলে তিনি সাফাই সাক্ষী ও কাগজাদি দাখিল করবেন বলে সময় দাবি করেন। পরে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ৮ মাসের কারাদন্ড ও ৫ লাখ টাকা অর্থদন্ড করা হয়। আসামী আমিরুল ইসলামের জামিন বাতিল করা হয়েছে এবং সাজাপরোয়ানা ইস্যুর লক্ষ্যে দন্ডাদেশ উল্লেখ করে আদালতে গরহাজির আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যূ করা হয়েছে। আসামী বর্তমানে পলাতক রয়েছে।

 

Related posts

Leave a Comment