শুভদিন অনলাইন রিপোর্টার:
অন্তবর্তিকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে বদল আনার যে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল, তা সত্য হলো। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারে বড় রদবদল হয়েছে। যুক্ত হয়েছেন নতুন তিন উপদেষ্টা। পুরোনো ছয়জনের দায়িত্ব পুনর্বণ্টন করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতা দিয়ে প্রধান উপদেষ্টার আরও তিনজন বিশেষ সহকারী নিয়োগ করা হয়েছে। সরকারি সূত্রের ভাষ্য, কাজে গতি বাড়াতেই এসব পরিবর্তন।
গতকাল রোববার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন শিল্পপতি সেখ বশির উদ্দিন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর দায়িত্বে থাকা মো. মাহফুজ আলম এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এ নিয়ে উপদেষ্টার সংখ্যা বেড়ে ২৪ হলো।
সেখ বশির বাণিজ্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, ফারুকী সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। গতকাল রাত পর্যন্ত মাহফুজ আলমকে কোনো মন্ত্রণালয় দেওয়া হয়নি। উপদেষ্টাদের মধ্যে সবচেয়ে বয়োকনিষ্ঠ এবং আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করার অভ্যুত্থান থেকে উঠে আসা ছাত্রনেতা আসিফ মাহমুদের দায়িত্ব বাড়িয়ে যুব ও ক্রীড়া সঙ্গে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়ের মতো বড় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই রদবদলে সরকারে ছাত্রনেতাদের প্রভাব আরও বাড়ল। যদিও ২৫ বছর বয়সী এ উপদেষ্টাকে শ্রম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছে।
গতকাল রাতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রধান উপদেষ্টাসহ সাতজনের দায়িত্ব পুনর্বণ্টনের প্রজ্ঞাপন হয়। এতদিন জনপ্রশাসনের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সংযুক্ত উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদারকে খাদ্য মন্ত্রণালয় দেওয়া হয়েছে। ড. ইউনূস নিজের হাতে রেখেছেন জনপ্রশাসন। আমলাদের বদলি-পদায়নে আওয়ামীপন্থিদের ‘গুরুত্ব’ দেওয়া হচ্ছে অভিযোগে আলী ইমাম মজুমদারের বিরুদ্ধে অনেক দিন ধরে ক্ষোভ জানাচ্ছেন কর্মকর্তারা। গতকালও সচিবালয়ে জমায়েত হন তারা।
মন্ত্রণালয় না পাওয়া মাহফুজ আলম প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আলী ইমাম মজুমদারের মতো সংযুক্ত থাকতে পারেন বলে জানা গেছে। এর মাধ্যমে তিনি জনপ্রশাসনসহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সব কার্যক্রম দেখবেন বলে সরকারি সূত্র জানায়। এতে সরকারে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা হবে। শেখ হাসিনার সাড়ে ১৫ বছরের কর্তৃত্ববাদী শাসনের পতন ঘটানো ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া মাহফুজ আলম সংবিধান সংস্কার কমিশনেরও সদস্য।
হাসান আরিফকে স্থানীয় সরকার থেকে সরিয়ে ড. ইউনূসের অধীনে থাকা বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সরকারের অভ্যন্তরে শুরু থেকেই শোনা যাচ্ছিল, গ্রামীণ এলাকার উন্নয়নের দায়িত্বে থাকা স্থানীয় সরকারের কাজকর্মে ধীরগতি চলছে। ভূমি মন্ত্রণালয় আগের মতো হাসান আরিফেরই থাকছে। রাজনৈতিক সরকারে স্থানীয় সরকারের দায়িত্বে সাধারণত ক্ষমতাসীন দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা থাকেন। আসিফ মাহমুদের এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার মাধ্যমে সরকারে অভ্যুত্থানের ছাত্রনেতৃত্বের গুরুত্ব আরও স্পষ্ট হলো।
এদিকে শপথ অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সর্বাত্মকভাবে শামিল দলের নেতাদের। রাজনৈতিক দলগুলোর ভাষ্য, উপদেষ্টা নিয়োগে মতামত নেয়নি সরকার। তবে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি বিএনপি। নতুন দুই উপদেষ্টার বিষয়ে আপত্তি শোনা গেছে দলগুলোর ভেতরে। এ নিয়ে বিক্ষোভ হয়েছে বঙ্গভবনের সামনে। সামাজিক মাধ্যমেও সমালোচনা হচ্ছে।
ছাত্রনেতা মাহফুজ আলম আগে থেকেই অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও সেখ বশির উদ্দিন ও মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে যুক্ত হওয়াকে চমক হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিএনপি আমলের পুলিশ মহাপরিদর্শক খোদা বখশ চৌধুরী, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে ড. সায়েদুর রহমান এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বিএনপি আমলে দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করা অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলামকে বিশেষ সহকারী নিয়োগ করা হয়েছে। মাহফুজ আলম উপদেষ্টা হওয়ার পর নতুন তিনজনসহ বিশেষ সহকারীর সংখ্যা চার হলো।
উপদেষ্টাদের চাপ কমবে কি?
প্রধান উপদেষ্টাসহ সরকারের সদস্য ছিলেন ২১ জন। একেকজনের হাতে একাধিক মন্ত্রণালয় থাকায় কাজের চাপ এবং আশানুরূপ গতি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। অর্থ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের কাঁধে ছিল। বাণিজ্যের দায়িত্ব এখন থেকে সেখ বশিরের। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল একই সঙ্গে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান এবং সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন। সংস্কৃতিতে বসারই সুযোগ পান না তিনি। তাই তাঁর ভার কমানো হয়েছে। সংস্কৃতির দায়িত্ব পেয়েছেন ফারুকী।
একাধিক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা উপদেষ্টারা বিভিন্ন সময়ে বলেছেন, একটি দায়িত্বে থাকতে চান, যাতে ভালোভাবে কাজ করতে পারেন।
শিক্ষা এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের হাতে দুটি মন্ত্রণালয় থাকায় তিনিও কাজের চাপে থাকছেন। চাপ কমাতে শিক্ষায় নির্বাহী ক্ষমতা দিয়ে অধ্যাপক আমিনুল ইসলামকে নিয়োগ করা হয়েছে।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সামলাচ্ছিলেন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। সেখ বশিরকে পাট ও বস্ত্র দেওয়া হলেও সাখাওয়াতের ভার কমছে না। আসিফ মাহমুদের শ্রমের দায়িত্ব এখন সাবেক এই স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাঁধে।
উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম স্বরাষ্ট্রে সহকারী হিসেবে খোদা বখশ চৌধুরীকে পেয়েছেন। উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের তিন মাসে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাজে গতি নেই বলে সরকারের মধ্যেই আলোচনা রয়েছে। এর মধ্যে সরকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সায়েদুর রহমানকে এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়ে বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে।
ছিলেন না বিএনপি-জামায়াতের কেউ
আগের তিন শপথ অনুষ্ঠানে বিএনপি ও জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের দেখা গেলেও গতকাল বঙ্গভবনে এ দুই দলের কাউকে দেখা যায়নি। এ নিয়ে দুই দলের বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করা হলেও এ ইস্যুতে কেউ কথা বলতে রাজি হননি।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্র জানায়, আগের তিন শপথের অতিথি তালিকা ধরে এবারও বিএনপি-জামায়াত নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে এবার অতিথি সংখ্যা কমানো হয়েছে।
প্রতিক্রিয়া
বিএনপি সূত্র জানায়, উপদেষ্টা পরিষদ সম্প্রসারণে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি; মতামতও নেয়নি সরকার। দলটির এক জ্যেষ্ঠ নেতা সমকালকে বলেন, উপদেষ্টা নিয়োগ প্রধান উপদেষ্টার এখতিয়ার। উপদেষ্টা পরিষদ সম্প্রসারণে দোষের কিছু নেই। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নেওয়া উচিত।
উপদেষ্টা পরিষদ সম্প্রসারণে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সরকারের কথা হয়নি বলে জানিয়েছেন দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের। তিনি বলেন, ‘আমার জানামতে আলোচনা হয়নি।’
সরকারের কাজে গতি বাড়াতে উপদেষ্টা পরিষদের আকার বাড়ানো প্রয়োজন ছিল বলে মনে করেন ডা. তাহের। তিনি বলেন, ‘যাদের উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করা হলো, তাদের কীভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে– এ প্রশ্ন আসবেই। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় আমার পরামর্শ ছিল কাজে গতি বাড়াতে সহকারী উপদেষ্টা নিয়োগ করার।’
যাদের উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে, তাদের সম্পর্কে মূল্যায়ন জানতে চাইলে জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, ‘এই নামগুলো দেখে জনগণ উল্লসিত হয়েছে, তা মনে করি না। তাদের দক্ষতার ওপর মূল্যায়ন নির্ভর করবে। আগে কাজ করুন, পরে মূল্যায়ন করা যাবে।’
রাজনৈতিক দলগুলোর সূত্র জানিয়েছে, সেখ বশির উদ্দিনের উপদেষ্টা পরিষদে অন্তর্ভুক্তি অপ্রত্যাশিত। তিনি ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের এমপি সেখ আফিল উদ্দিনের ভাই। নির্বাচনে ঘোষণা দিয়ে কারচুপির কারণে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে সেখ আফিলের নির্বাচিত হওয়ার গেজেট আটকে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর স্ত্রী অভিনেত্রী তিশা বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনীমূলক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। সে সময় তাঁকে শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা গিয়েছিল। শেখ হাসিনার মন্ত্রীদের সঙ্গে ফারুকী-তিশার পুরোনো ছবি পোস্ট করে গতকাল অনেকেই সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনা করেন।
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্থা শারমিন সমকালকে বলেন, ‘উপদেষ্টা পরিষদকে আরও কার্যকর করা দরকার। উপদেষ্টাদের অভ্যুত্থানের চেতনা নিয়ে কাজ করা উচিত। উপদেষ্টা সংখ্যা বাড়ানোর দরকার ছিল। ভঙ্গুর দশায় থাকা রাষ্ট্রকে পুনর্গঠনে আরও হাত প্রয়োজন। নাগরিক কমিটি বলে আসছে, গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী কাজ হচ্ছে না। সরকারের গতি মন্থর।’
‘প্রফেসর ইউনূসের সহকর্মী হওয়াটা লোভনীয়’
শপথের পর মোস্তফা সরয়ার ফারুকী প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ‘আমার জন্য অভাবনীয় অভিজ্ঞতা। কারণ আমি কখনোই কোনো পদ কিংবা চেয়ারে বসব, ভাবিনি। তবে প্রফেসর ইউনূসের সহকর্মী হওয়াটা বেশ লোভনীয়; যেখানে না বলাটা মুশকিল।’
ফারুকী বলেন, ‘আমি আশা করি, যে কয়দিন কাজ করব কিছু পরিবর্তন হয়তো ঘটাতে পারব। সেটা যদি করতে পারি, তাহলে বুঝব– যে উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছি, সেটা সফল হয়েছে।’ সবার উদ্দেশে এ নির্মাতা বলেন, ‘যদি কোথাও কোনো ভুল করি, আশা করি সেটা ধরিয়ে দেবেন। খুশি মনেই গ্রহণ করব।’
উপদেষ্টা বশিরের বিরুদ্ধে মশাল মিছিল
আকিজ-বশির গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেখ বশির উদ্দিনের বিরুদ্ধে মশাল মিছিল করেন গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মী। শ্রমিক অধিকার পরিষদের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মাহবুবুল হক শিপন বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি আফিল উদ্দিনের ভাইকে উপদেষ্টা পরিষদে কোনোভাবে মেনে নেওয়া হবে না। আওয়ামী লীগের আমলে তারা লুটপাট করেছে। তাদের ডেকে যদি উপদেষ্টা করা হয়, তাহলে কেমন হয়? আওয়ামী লীগপন্থি কোনো উপদেষ্টা আমরা মেনে নেব না।’
বঙ্গভবনে শপথ অনুষ্ঠান
মোঃ সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি পদ থেকে অপসারণে অভ্যুত্থানের ছাত্রনেতারা সরব হলেও তাঁর কাছেই শপথ নিয়েছেন তিন উপদেষ্টা। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শপথের কিছু আগে বঙ্গভবনে দরবার হলে আসেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু হওয়া শপথ অনুষ্ঠানে শহীদদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। কয়েকজন উপদেষ্টা, তিন বাহিনীর প্রধান এবং সামরিক ও বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।
ফারুকী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পক্ষে সরব ছিলেন তিনি। ৫ আগস্টের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পতিত আওয়ামী লীগের সমালোচনামুখর তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মাহফুজ আলম গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির তাত্ত্বিক নেতা হিসেবে পরিচিত। এ সংগঠনের নেতাদের গড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সরকারি চাকরিতে কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলনের মাধ্যমে অভ্যুত্থানের সূত্রপাত ঘটায়। হাজার প্রাণের বিনিময়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার তিন দিনের মাথায় ড. ইউনূসের সরকার শপথ নেয়।