বিশ্বজিৎ খু-নের সময় ভারত কথা বলেনি কেন? প্রশ্ন রিজভীর

শুভদিন অনলাইন রিপোর্টার:
বিএনপির আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে রুহুল কবির রিজভি ছিলেন। সেখানে তিনি তার বক্তব্য রাখেন,তিনি শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন আজকে চিন্ময় গ্রেফতার হয়েছে বলে কুমিরের কান্না কাঁদছেন, এটার জন্য আপনি ভারতের কাছ থেকে কি পুরস্কার পাবেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তর চিন্ময়কে মুক্তি দেয়ার কথা বলেন এই প্রসঙ্গে তিনি ভারতীয় পররাষ্ট্র দপ্তরকে প্রশ্ন রাখতে চান যে শেখ হাসিনার পোষ্য সন্তান ছাত্রলীগ জুবলী যখন বিশ্বজিৎ কে হত্যা করল তখন তো ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তর কোন কথা বলল তা। পররাষ্ট্র দপ্তর নিশ্চুপ থাকল কেন।

যখন আপনার উত্তর পূর্বাঞ্চলের নদীর বানগুলো ছেড়ে দিলেন উত্তর পূর্বাঞ্চলের মানুষগুলো ভেসে গেল শুধু মুসলমানদের বাড়িঘর ভেসে যায়নি হিন্দুদেরও বাড়িঘর ভেসে গিয়েছিল তখন ভারতীয় পররাষ্ট্র দপ্তর কোথায় ছিলেন। সে ক্ষেত্রে তো কারো মায়া-দয়ার পরিচয় দেখতে পাওয়া যায়নি। যে চিন্ময় যার নামে অভিযোগ আছে সে তো বাংলাদেশের নাগরিক।

অপরাধ আছে কিনা তার, সেটি আদালত দেখবে এক্ষেত্রে ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তরের এত আগ্রহ কেন, তিনি আরও বলেন গত আন্দোলনে দু হাজারেরও বেশি শিশু কিশোর তরুণকে নির্বিচারে যারা হত্যা কর, সেই শেখ হাসিনা তাকে আজকে আপনারা আশ্রয় দিলেন।

একই সাথে সারজিস হাসনাতের ওপর আক্রমণের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এখানে ইসকনের সংযোগ থাকতে পারে। তিনি বলেন আপনারা কি মনে করছেন বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করে তোলে আপনারা পার পেয়ে যাবেন। এই আঠারো কোটির দেশেকে অস্থিতিশীল করে আপনারা কিছুই করতে পারবেন না।

এদেশের মানুষ সচেতন এদেশের মানুষ যুদ্ধ করে তাদের স্বাধীনতা এনেছেন, ভারত সংগ্রাম করেছে কিন্তু কি করে নিজের দেশের জন্য জীবনকে উৎসর্গ করতে হয় সেটা বাংলাদেশের মানুষ বাংলাদেশের জনগণ জানে।

বাংলাদেশের লোকজন দীর্ঘদিন ধরে হিন্দু মুসলমান একত্রিত হয়ে বসবাস করে আসছে আমরা মুসলমানরা হিন্দুদের পূজায় যাই এবং হিন্দুরা আমাদের ঈদ মিলাদুন্নবীতে আসেন আমাদের এই ভ্রাতৃত্ব ভারত কি ভেঙে দিতে চাচ্ছে, একমাত্র শেখ হাসিনা কে রক্ষা করার জন্য।

আপনারা কত ধরনের চক্রান্ত করছেন আমরা জানিনা কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ এটা ধরে ফেলেছে।

Related posts

Leave a Comment