– কাজী মোঃ হাসান
আমি প্রতিজ্ঞা করেছি আর কাঁদবো না কিছুতেই!
তবুও মাঝে মাঝে কান্না পায়! আপনা থেকেই চোখ ফেটে
অশ্রু গড়িয়ে যায়
গণ্ড বেয়ে
শুভ্র দাড়ির ডগায় ঝুলে থাকে
এক ফোঁটা শিশির বিন্দু যেনো ।
আসলে, আমরা চাইলেই সবকিছু
নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। সব ঠিকঠাক তবু
কি জানি কেন
এলোমেলো হয়ে যায় সাজানো বাগান।
এ যেন এক অদৃশ্য অঙ্গুলি হেলনের কাছে
অসহায় আত্মসমর্পণ।
আমি প্রতিজ্ঞা করেছি কারো বিরুদ্ধেই কোনো
অভিযোগ রাখবো না আর
দুঃখ, অভিমান, অভিযোগে ভরা খাতাটা
ইরেজার দিয়ে লেখাগুলো মুছে
লুকিয়ে রাখবো তালাবদ্ধ সিন্দুকের ভেতর
যেন কেউ কোনদিন খুঁজে না পায় কোথাও।
অথচ আমি একটু একা হলেই
ওই খাতাটার জ্বলজ্বল করা স্পষ্ট লেখাগুলো
কে যেন মনের গোপন কুঠুরি থেকে টেনে
তুলে আনে চোখের সামনে
কখনো আক্রোশ কখনো বা হতাশা নিয়ে।
কখনো কখনো আছড়ে পড়ে
ভিসুভিয়াসের উপর
কখনো বা নীল নদের ঢেউয়ের ঝুঁটির
উম্মত্ত ফেনায়।
ঢেউয়ের নির্দয় উল্লাস আমাকে আছড়ে,
খামচে ক্ষতবিক্ষত করে নাস্তানাবুদ করে দেয়
ভেঙে যায় ধৈর্যের পাড়।
ভীষণ কান্না পায় তখন। অসহায় লাগে
কিন্তু না, আমি তখনো একদম কাঁদিনা।
তবে অবাধ্য বৃষ্টির মতো চোখের পাতা ছোঁয়ে
গড়িয়ে পড়ে ফোঁটা ফোঁটা জল
এতে বাধ দেয়ার ক্ষমতা আমার নেই।
আমি তো বলেছি, শুধু বলিনি- প্রতিজ্ঞা করেছি
আমি আর কাঁদবো না কিছুতেই।
তবে কেন আমাকে
বার বার কাঁদাতে চাও প্রভু?
তোমার এই রহস্য বোঝার সাধ্য আমার নেই!
তবে আমাকে যতো যা-ই করো,
যতো ভাবেই মারো
মনে রেখো,
আমি কিছুতেই কাঁদবো না তবু!