শুভদিন অনলাইন রিপোর্টার:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানার দুই এসআইয়ের উপর হামলা করে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ছিনিয়ে নেয়ার এক সপ্তাহ পর ছিনিয়ে নেয়া আসামিসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব সদস্যরা।
শুক্রবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গত ১১ জুন সোনারগাঁওয়ের পাশের থানা রূপগঞ্জের যাত্রামূড়া এলাকায় পুলিশের ওপর ওই হামলা করা হয়।
শনিবার সকালে র্যাব-১১-এর উপ-পরিচালক এ কে এম মুনিরুল আলম তাদের গ্রেফতারের খবর নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতাররা হলেন ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি মো: আমিন (৪০), রিনা বেগম (৪১), রিপন মিয়া (৩৮) ও আছমা (৩৮)। তাদেরকে সোনারগাঁও থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব।
শনিবার সকালে গ্রেফতারদের নারায়ণগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে র্যাব পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া ১টি ওয়াকিটকি সেট, মোবাইল সেট, ১টি পুলিশ আইডি কার্ডসহ গুরুত্বপূর্ণ আলামত উদ্ধার করেছে।
পুলিশ জানায়, গত ১১ জুন সোনারগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো: ফারুক হোসেন ও মেরাজুল ইসলাম সোহাগের ওপর হামলা করে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি মো: আমিনকে ছিনিয়ে নেয় তারা। এ ঘটনায় আহত সোনারগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক মো: ফারুক হোসেন পরদিন মামলা করেন। ওই মামলার সূত্র ধরে র্যাব পুলিশের পাশে ছায়া-তদন্ত করে তাদের গ্রেফতার করে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ জুন সোনারগাঁও থানা পুলিশ জানতে পারে কাচঁপুরে ওপেক্স সিনহা গার্মেন্টসের সামনে ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি মো: আমিন (৪০) অবস্থান করছে। সেখানে সোনারগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক মো: ফারুক হোসেন ও উপ-পরিদর্শক মেরাজুল ইসলাম সোহাগ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে দেহতল্লাশী শেষে ভ্যানে তোলার সময় কৌশলে রূপগঞ্জে যাত্রামূড়া এলাকার দিকে পালিয়ে যায়।
পুলিশ তাকে অনুসরণ করে রূপগঞ্জ থানার যাত্রামূড়া এলাকার পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয়ের সামনে থেকে আবারো গ্রেফতার করে। ফিরে আসার সময় গ্রেফতার আসামিরাসহ অজ্ঞাত আসামিরা পুলিশকে হত্যার উদ্দেশ্যে অতর্কিত হামলা করে। হামলায় দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে পুলিশের দুই এসআই গুরুতর জখম হন। এক পর্যায়ে তারা পুলিশের কাছ থেকে গ্রেফতারকৃত ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি মো: আমিনকে ছিনিয়ে নেয়।
এ সময় তারা সরকারী মালামাল পুলিশের ওয়াকিটকি, ওয়ারলেস সেট, মোবাইল, আইডি কার্ড ও নগদ টাকা হাতিয়ে নেয়।
সোনারগাঁও থানার ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, পুলিশের ওপর হামলা করে ছিনিয়ে নেয়া ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।