শুভদিন ডেস্ক:
তুরস্কে আঘাত হানা ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত সিরিয়া এবং তুরস্কে অন্তত ১১৩ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৫ শতাধিক। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে দুই দেশেরই স্থানীয় প্রশাসন। খবর দ্য গার্ডিয়ান ও এপির।
তুরস্কে ভূমিকম্পের কারণে সৃষ্ট ধ্বংসস্তুপের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন
স্থানীয় সময় সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পটি তুরস্কের গাজিয়ান্তেপ প্রদেশের নূরদাগি শহরের পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানে। অঞ্চলটি সিরিয়ার সীমান্তবর্তী।
এপির প্রতিবেদনে সিরিয়ার এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, দেশটিতে তুরস্কে সংঘটিত ভূমিকম্পে সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২ জনে। সিরিয়ার সহযোগী স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, সরকার নিয়ন্ত্রিত এলাকায় নিহত হয়েছেন ৪২ জন এবং বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় নিহত হয়েছেন আরও ২০ জন।
গৃহযুদ্ধের কারণে উত্তর সিরিয়ার এই অঞ্চলটিতে আগে থেকেই কয়েক লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত। এই ভূমিকম্প নতুন করে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা আরও বাড়াবে বলে আশঙ্কা স্থানীয় প্রশাসনের।
তুরস্কের স্থানীয় প্রশাসনগুলোর বিবৃতি থেকে জানা গেছে, এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫১ জনে। দ্য গার্ডিয়ানের খবর, নিহতদের মধ্যে মালাতিয়া প্রদেশে ২৩ জন, সানলিউরফাতে ১৭ জন, দিয়ারবাকির প্রদেশে ৬ এবং ওসমানিয়া প্রদেশে নিহত হয়েছেন আরও ৫ জন।
কর্মকর্তারা বলছেন, ভূমিকম্প সংঘটিত হওয়ার সময় অধিকাংশ মানুষ ঘুমে থাকায় হতাহতের সংখ্যা আশঙ্কাজনকহারে আরও বাড়তে পারে।
তুরস্ক পৃথিবীর সক্রিয় ভূমিকম্প ফল্টলাইনগুলোর একটির ওপর অবস্থিত। দেশটিতে প্রায় প্রায়ই ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়। ১৯৯৯ সালের মারাত্মক শক্তিশালী এক ভূমিকম্পে দেশটিতে অন্তত ১৭ হাজার মানুষ নিহত হয়েছিল। সেবার ৭ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্পে দেশটির ইস্তাম্বুলেও অন্তত ১ হাজার মানুষ নিহত হয়েছিল।