শুভদিন অনলাইন রিপোর্টার:
গাড়িতে গরুর মাংস আছে এমন সন্দেহে দুই মুসলিমকে বেধড়ক পিটিয়েছে গো রক্ষকরা। এতে একজন গুরুতর আহত হয়েছেন এবং অপরজন মারা গেছেন। ঘটনা ঘটেছে ভারতের আহমেদাবাদে। গুজরাটের ওই শহরটি থেকে মুম্বইতে যাচ্ছিল ওই গাড়িটি। কিন্তু রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে ভেতরে থাকা দুই জনকে পেটায় স্থানীয় গো রক্ষকরা। পুলিশ এরইমধ্যে ওই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে জানানো হয়, রাস্তায় যে টোল প্লাজা রয়েছে সেখানকার কর্মীরাই গো রক্ষকদের খবর দেয় যে ওই গাড়িতে গরুর মাংস রয়েছে। এরপরই রাস্তায় ওই গাড়িটিকে আটকায় গো রক্ষকদের একটি দল। গাড়িতে থাকা দু’জনকে বেধড়ক মারধর করা হয়। এতে একজনের মৃত্যু হয়। মৃতের নাম আফান আব্দুল মাজিদ আনসারি।
বয়স ৩১ বছর। তিনি গুজরাটের প্রতিবেশী রাজ্য মহারাষ্ট্রের কুরলার বাসিন্দা। এদিকে অপর গাড়ি আরোহী নাসির হুসেন শেখ। তিনিও আহত হয়েছিলেন। তবে তার অবস্থা এখন স্থিতিশীল।
ভারতে এই কথিত গো রক্ষকদের নাম করে প্রায়ই এ ধরণের মারধর থেকে শুরু করে হত্যাকাণ্ড পর্যন্ত ঘটছে। বহু চেষ্টার পরেও প্রশাসন গো রক্ষকদের বাড়াবাড়ি থামাতে পারছে না। এর আগে ৮ই জুন গরু পাচারের অভিযোগে এক জনকে হত্যা করা হয়েছিল। পুলিশ তখন রাষ্ট্রীয় বজরং দলের ৬ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল।
সাম্প্রতিক এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে স্থানীয় পুলিশের এসপি শাহজি উমাপ জানিয়েছেন, ১১জন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে খুন ও দাঙ্গার অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, গো রক্ষকদের নামে ওই গ্রুপটি চলছিল। তারা গোরক্ষার কাজ করে বলে দাবি করছে। এই প্রথমবার তারা হত্যার মতো অপরাধ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে পুলিশ জানিয়েছে যে, গত ৮ই জুন যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তাদের সঙ্গে এই গ্রুপটির যোগ নেই। পুলিশ জানিয়েছে, এদের একটা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ আছে। কোথাও গরুর মাংস নিয়ে যাওয়ার খবর পেলেই তারা সেখানে চলে যায়। সেখানে গিয়ে তারা এই কাজ আটকানোর চেষ্টা করে।