শুভদিন অনলাইন রিপোর্টারঃ
অর্থপাচার ও আত্মসাত মামলায় প্রথমবারের মতো দুদকের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হলেন গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস। ঘন্টাখানেকের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে এই নোবেলজয়ী বলেন, অপরাধ করেননি, তাই শঙ্কিত নন। এদিকে দুদক সচিব জানান, আইনানুযায়ী তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। হয়রানি করার কোন উদ্দেশ্য নেই।
শ্রমিকের অর্থ লোপাট এবং অর্থপাচার মামলায় প্রথমবারের মতো দুদকের আঙ্গিনায় নোবেলজয়ী ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস। সকাল সাড়ে ৯টায় দুদক কার্যলয়ে অভিযোগের জবাব দিতে হাজির হন তিনি। এসময় তার সাথে ছিলেন আইনজীবীরাও।
চলতি বছরের মে মাসে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কমর্মচারীর ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নোবেল জয়ী ড. ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্বে একটি টিম তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জানতে চান শ্রমিক কল্যাণ তহবিলের টাকা বিভিন্ন জায়গায় কিভাবে তসরূপ হয়েছে।
অবশ্য জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কথা বলতে রাজি হননি ডক্টর ইউনূস। তিনি বলেন, আমাকে ডেকেছে তাই এসেছি। অভিযোগের বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। এটা আইনি বিষয়, আমার আইনজীবী বলবেন।
তার আইনজীবী জানান, দুই পক্ষের চুক্তির ভিত্তিতে লেনদেন হয়েছে। দেশে বিদেশে উদ্দেশ্যমূলকভাবে হয়রানি করতেই মামলা করেছে দুদক।
আইনজীবী আব্দুল আল মামুন বলেন, শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলা মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও কাল্পনিক অভিযোগের ভিত্তিতে করা।
তবে, দুদকের সচিবের দাবি, মামলার তদন্তের স্বার্থে তাকে তলব করা হয়েছে। এখানে হয়রানি বা ব্যক্তিগত পরিচয় দেখা হচ্ছে না।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর অধ্যাপক ইউনূসহ ৮ জনকে তলব করে নোটিশ দেয় দুদক। এর মধ্যে বুধবার গ্রামীণ টেলিকমের ৪ পরিচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে।