– কাজী মোঃ হাসান
ফিলিস্তিন! ফিলিস্তিন!
মহাসাগর সম রক্ত গঙ্গার এক করুণ ইতিহাস
সভ্যতার মহাকাশে নির্যাতিত নিষ্ঠুর তিলক।
আমি আর তো পারি না চোখের পানি ধরে রাখতে
যতবার ঐ ঝলসে যাওয়া
রক্ত নদীতে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকা শিশুর দিকে তাকাই
মায়েদের গলিত লাশ দেখি ততবারই কেঁদে উঠে
আমার প্রাণ, আমার বুকের গভীরে লুকিয়ে থাকা
অবুঝ অসহায় শিশুর মতো-
এক টুকরো ভালোবাসা।
যখন দেখি হাসপাতালে হিমাগারে
লাশ রাখার জায়গা নেই
লাশের পরে লাশ রেখেও পাওয়া যাচ্ছে না
কবর দেয়ার নিরাপদ জায়গা টুকু।
আর তখনি জেগে উঠছে শিরায় শিরায় রক্ত স্পন্দন
শপথের হাত অপরাজেয় আক্রোশ বিবেক সত্তা।
মানুষের উপর মানুষের এ ক্যামন জুলুমের
নতুন ইতিহাস। এ যেন মানব সভ্যতার কলঙ্ক।
অত্যাচারে, দুঃখ কষ্টে
ভেঙে যায় বুঝি হিমালয়ের চূড়া,
প্রশান্ত মহাসাগরের পার।
শুধু ভাঙ্গে না ওই মোড়ল নামধারী খুনীদের ঘাড়।
বিশ্ব বিবেক এখন কোথায় কোন আস্তাকুড়ে চুপ করে
বসে আছে মুখ লুকিয়ে
তাদের এই নীরবতাকে আমি ঘৃণা করি
থুতু দেই মুখোশধারীদের বিবেক-মুখমণ্ডলে।
তবে এটা ঠিক!
আমি এও বিশ্বাস করি-
চিরদিন কারো সমান নাহি যায়।
একদিন এই জুলুমের বিচার হবেই
সেদিন এই পৃথিবীকে নিতে হবে দায়।
দিতে হবে গুণে গুণে কড়ায়-গণ্ডায় তার দাম।
আমি যুগ যুগ বেঁচে থেকে সেদিনের
অপেক্ষায় রইলাম।