প্রতিটি মানুষ আইনের সমান আশ্রয় এবং ন্যায়বিচার লাভ করবে: জেলা ও দায়রা জজ

আমিরুল ইসলাম অল্ডাম, মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি:

মেহেরপুর জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান এবং জেলা ও দায়রা জজ (ভারপ্রাপ্ত) নূর নবী বলেছেন, বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ আইনের সমান আশ্রয় লাভ করবে এবং ন্যায়বিচার সহজলভ্য হবে। তিনি বলেন, আইনগত সহায়তার মাধ্যমে দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত জনগণের জন্য ন্যায়বিচারের পথ উন্মুক্ত হয়েছে। এ উদ্দেশ্যেই ২০০০ সালে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান আইন প্রণয়ন করা হয় এবং এর আলোকে বিনামূল্যে আইনগত সহায়তা প্রদানের জন্য জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে।
সোমবার সকালে জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নূর নবী আরও বলেন, “বিচারপ্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করতে মেহেরপুর জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে নিয়মিতভাবে আইনগত সহায়তা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের জন্য বিনামূল্যে মামলা দায়ের, মামলা পরিচালনা,
পরামর্শ প্রদানসহ নানামুখী সেবা দেয়া হচ্ছে। এই উদ্যোগের সফল বাস্তবায়নে বিচারক, আইনজীবী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং সচেতন নাগরিকদের সমন্বিত প্রচেষ্টা অপরিহার্য। আমরা চাই, ন্যায়বিচারে যেন কারও বিঘ্ন না ঘটে এবং আর্থিক দৈন্যতা যেন কাউকে তার অধিকার থেকে বঞ্চিত না করে।
ন্যায়বিচারে সহজ প্রবেশ এবং ন্যায্যতায় সমান সুযোগ তৈরিতে আমরা সম্মিলিতভাবে কাজ করবো। এতে করে আমাদের কাঙ্ক্ষিত ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে।জেলা লিগাল এইড অফিসার ও সিনিয়র সহকারী জজ মাসুদ রানার সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সিনিয়র জেলা জজ মনজুরুল ইমাম, জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক তহিদুল ইসলাম, জেলা
ম্যাজিস্ট্রেট সিফাত মিনাজ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামিনুর রহমান খান, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহজাহান আলী, জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট মারুফ আহমেদ বিজন এবং পাবলিক প্রসিকিউটর সাইদুর রাজ্জাক টোটন।
আলোচনা সভার আগে এক বর্ণাঢ্য র‍্যালির আয়োজন করা হয়। র‍্যালিতে জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনজীবী, শিক্ষার্থী ও সুধীজন অংশগ্রহণ করেন। ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে তারা আইনি সহায়তা
সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির বার্তা ছড়িয়ে দেন।
অনুষ্ঠানে লিগ্যাল এইড আইনজীবী প্যানেলের সেরা আইনজীবী নির্বাচিত হওয়ায় রুতশোভা মণ্ডলকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। এর মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।
এবার দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য ছিল “দ্বন্দ্বে কোন আনন্দ নাই, আপস কর ভাই; লিগ্যাল এইড আশেপাশে, কোন চিন্তা নাই।”

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *