ভারতে সন্দেহের বশে মুসলমানদের উপরে তাণ্ডব হিন্দুদের, মসজিদ ভাঙচুর

শুভদিন অনলাইন রিপোর্টার:

ভারতের নৈনিতালে ১২ বছরের মেয়েকে ধর্ষণের জন্য মুসলমান এক বৃদ্ধকে সন্দেহ করা হয়। এ ঘটনায় হিন্দু সংগঠনগুলি ক্ষেপে উঠে এবং এলাকার মসজিদগুলি ভাঙচুর করতে শুরু করে। মসজিদের দরজায় পাথর ছুঁড়ে মেরেছে। পাশাপাশি মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষজনকে মারধর করতে শুরু করেন হিন্দু সংগঠনগুলি। দোকানপাট ভাঙচুর করতে শুরু করেন। নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনায় পুরো শহর জুড়ে রীতিমতো তাণ্ডব শুরু হয়। ফলে পুরো বাজার বন্ধ করে দেওয়া হয়। অভিযুক্তের বিচারের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে প্রতিবাদ করে হিন্দুরা।
এলাকা উত্তপ্ত হতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন নিকটবর্তী নৈনিতাল থানার বিরাট পুলিশ বাহিনী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে তাদের সঙ্গে জনতার সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। লাঠিচার্জ করেন পুলিশ। গ্রেফতার কৃত অভিযুক্তকে তাঁদের হাতে তুলে দেয়ার জন্যে দাবি করতে থাকবে ক্ষুব্ধ জনতা। মল্লিতাল থানা ঘেরাও করা হয়। রীতিমতো বিশৃঙ্খলার পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষুব্ধ জনতা পুলিশের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ এনে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তাতে পরিস্থিতি কিছুক্ষণের জন্যে সম্পূর্ণভাবে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
পুলিশ কোনক্রমে পরিস্থিতি সামাল দেন। কিছু যুবক পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে দেয়। কিছু জায়গায় স্লোগান দেওয়া হয়। এরপর পুলিশ কর্তৃপক্ষ কোনওভাবে ক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত করে। শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন নৈনিতাল থানার পুলিশ। প্রসঙ্গত, কিশোরী ধর্ষণের এই ঘটনাটি বুধবার সন্ধ্যায় থানায় পৌঁছয়। কিছুক্ষণ পর, হিন্দু সংগঠনের কর্মকর্তারা যখন এটি জানতে পারেন, তখন তারা থানায় পৌঁছান এবং হট্টগোল শুরু করেন।
জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে যখন ঘটনাটি ঘটে, তখন লালসার শিকার হওয়া কিশোরীর মা আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে কোথাও বেরিয়েছিলেন। এমন পরিস্থিতি তে, তিন দিন আগে, বৃদ্ধ লোকটি তার ঘরের কাজ সেরে ফেলার জন্য মহিলার মেয়েকে তার বাড়িতে ডেকেছিলেন। সে মেয়েটিকে ২০০ টাকাও দিয়েছিল। পরের দিন সে কিশোরীকে তার গাড়িতে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। সে কিশোরটিকে শহরের একটি প্রধান রাস্তায় নামিয়ে দিয়ে চলে যায়।
মেয়ের পরিবার যখন বিষয়টি জানতে পারে, তখন তারা বুধবার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এবং পুলিশ নাবালিকার ধর্ষককে গ্রেফতার করেন। নাবালিকার মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মামলা দায়ের করেছে এবং পুরো বিষয়টি তদন্ত করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *