মোঃ হাফিজুল ইসলাম (হাফিজ):
সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ গড়তে হলে নারী পুরুষের বৈষম্য দূর করা বাঞ্ছনীয়। তিনি বলেন, সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে সমাজের মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে দুটি মেলার আয়োজন করতে চাই। যাতে এই মিলনমেলায় ছেলে-মেয়েদের নানা অভিযোগ জানাতে পারবে, সবাই মিলে তাদের অভিযোগের কথা, মনের কথা খুলে বলতে পারবে। সবাই জানবে এই মন্ত্রণালয় জনমানুষের জন্য কি কি কাজ করে। এজন্য আমি কাঠামোগত জায়গায় একটি শক্তি সঞ্চয় করে তা তৈরি করে দিয়ে যাবো।
তিনি আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে কথা বলো নারীরা আয়োজনে সংকট ও সম্ভাবনাময় নারীর চোখে আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
মতবিনিময় সভায় কথা বলো নারীর আহবায়ক নুসরাত হকের সভাপতিত্বে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ এনডিসি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ বিভাগের অধ্যাপক ড. গীতি আরা নাসরিন, বৈষম্য ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমাসহ জুলাই আন্দোলনে সহযোদ্ধারা বক্তৃতা করেন।
উপদেষ্টা বলেন, গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করে, সংগ্রাম করে অর্জন করা যায়, হয়তো সমাজকেও পরিবর্তন করা যায় কিন্তু যে জায়গাটা বিশপ কঠিন, সেটা হচ্ছে নারী- পুরুষের জায়গায় আমরা যখন সমতার কথা ভাবি তখন সহিংসতা দেখি। তিনি বলেন, ৭১এর মুক্তিযুদ্ধে মেয়েরা যেভাবে সাহসী ভূমিকায় নেমে এসেছিল ২৪ এর গণ আন্দোলনেও ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও সাহসী ভূমিকায় নেমে এসেছিল। মেয়েরা স্বাস্থ্য সচেতনতায় ফ্যামিলি প্ল্যানিং কাজে যেমন দক্ষতা দেখিয়েছে সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে এখন ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা সামাজিক শক্তি হিসেবে কাজ করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, জুলাই কন্যাদের সাহসিকতা, নেতৃত্ব এবং ত্যাগ আমাদের শেখায় কিভাবে প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয় এবং কিভাবে পরিবর্তন সম্ভব। তিনি আরো বলেন, সাইবার সেফটি তৈরির ক্ষেত্রে এবং অন্যান্য ক্ষেত্রেও মেয়েদেরকে আমি দেখতে চাই। সমাজে যদি আমরা নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা দিতে না পারি তাহলে কিভাবে একটি সুন্দর পরিবেশ গড়ে উঠবে। বর্তমান এবং ভবিষ্যতের নারীদের জন্য একটি বার্তা যে, তাদের জীবন, অধিকার এবং মর্যাদা কেবল রক্ষা করাই নয়, সেটিকে আরো দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করাও আমাদের অঙ্গীকার। আসুন, আমরা সবাই মিলে দেশব্যাপী জুলাই বিপ্লবের মেয়েদের এবং ছেলেদের নিয়ে নারীর প্রতি সকল বৈষম্য দূর করে সমাজে নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত করতে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।