শুভদিন অনলাইন রিপোর্টার:
করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বসানো হয়েছে স্বাস্থ্য পরীক্ষার সরঞ্জাম। আগাম সতর্কতা হিসেবে ভারত থেকে যেসব রুটের ফ্লাইট ঢাকায় অবতরণ করে, সেসব ফ্লাইটের সব যাত্রী স্ক্রিনিং শুরু করেছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। চট্রগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে হেলথ স্ক্রিনিং ইকুইপমেন্ট বসানোসহ করোনা মোকাবিলার জন্য প্রস্তুতি নেয়া শুরু হয়েছে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এসএম রাগীব সামাদ বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশে করোনা সংক্রমণ ফের বাড়তে থাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও জোরদার করা হয়েছে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা। ভারত থেকে আগত যাত্রীদের স্ক্রিনিং করা হচ্ছে। বিমানবন্দরে পর্যাপ্ত সংখ্যক মাস্ক এবং পিপিই রাখা হয়েছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় আছে। পাশাপাশি বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাও সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়াও, আন্তর্জাতিক ফ্লাইট থেকে আগত যাত্রীদের ইমিগ্রেশন প্রবেশপথে বসানো হয়েছে থার্মাল স্ক্যানার। বিমানবন্দরে আগত যাত্রীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে করোনা প্রতিরোধ সংক্রান্ত নির্দেশনা ও সতর্কতা প্রচারও চলছে।
ওদিকে, এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শাহ আমানত বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক আগমনী হলে ইমিগ্রেশনের প্রবেশস্থলে স্বাস্থ্য পরীক্ষার সরঞ্জাম বসানো হয়েছে। থার্মাল স্ক্যানারের মাধ্যমে আসা যাত্রীদের তাপমাত্রা নির্ণয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। টার্মিনালের স্পর্শকাতর পয়েন্টগুলোতে সবার জন্য মাস্ক ব্যবহারের জরুরি নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিমানবন্দরের স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে পর্যাপ্ত মাস্ক ও গ্লাভসের মজুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া যাত্রীদের মধ্যে ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে গণসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য রোগ প্রতিরোধ নির্দেশনা প্রচারের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
দেশে আবারও শনাক্ত হচ্ছে নতুন ধরনের করোনা ভাইরাস। গত এক সপ্তাহে ১৩৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছে ৩৬ জনের শরীরে আর নতুন করে মারা গেছেন একজন। ৮ জুন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় ২৪ ঘণ্টায় ৪ জনের পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে তিন জনের শরীরে। যা নমুনা পরীক্ষার ৭৫ শতাংশই আক্রান্ত। বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে নতুন করে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে।
জেনেটিক সিকোয়েন্স বিশ্লেষণে জানা গেছে, ওমিক্রনের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট- এলএফ-৭, এক্সএফজি, জেএন.১ এবং এনবি.১.৮.১ এর কারণে এই সংক্রমণ বেড়েছে। প্রতিবেশী দেশে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতেও সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে দেশের সব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, স্থল ও নৌবন্দরগুলোতে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও স্ক্রিনিং জোরদার করা হয়েছে।