শুভদিন অনলাইন রিপোর্টার:
স্রোতটা এখন ঘরে ফেরার। বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বাংলাদেশের প্রবাসী ফুটবলাররা দেশে ফিরছেন, দেশের জার্সি গায়ে চড়াচ্ছেন একে একে। হামজা চৌধুরী, শমিত সোমদের শুরু করা এ স্রোতের গা ভাসালেন না নাবিল ইরফান। তিনি খেলছেন কাতারে। কাতার জাতীয় দলের এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের দলে আবারও ডাক পেয়েছেন তিনি। খেলবেন সে দলটির হয়েই।
কাতারের লিগে আল ওয়াকরাহ স্পোর্টস ক্লাবের হয়ে খেলেন নাবিল। মূলত রাইট ব্যাক পজিশনে খেললেও তিনি রক্ষণের যে কোনো জায়গাতেই খেলতে পারদর্শী। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জন্ম নেওয়া এই ফুটবলারকে আরও আগেই দলে ডেকেছিল কাতার। গেল বছর বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে কাতারের হয়ে ভারতের বিপক্ষে খেলেছেন তিনি। এরপর আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে স্কোয়াডে ছিলেন। যদিও সে ম্যাচে মাঠে নামা হয়নি তার। বেঞ্চে বসেই পুরো ম্যাচটা কাটাতে হয়েছে।
নাবিল অবশ্য কাতারের স্কোয়াডে এ উইন্ডোয় শুরুতে ডাক পাননি। উজবেকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের তিন দিন আগে তাকে ডেকেছেন কোচ ইউলেন লোপেতেগি। স্কোয়াডে তার সঙ্গে ডাক পেয়েছেন মোহাম্মদ আয়াশও।
২১ বছর বয়সী নাবিল ইরফান বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা হাজারো বাংলাদেশি-বংশোদ্ভূত ফুটবলারদের একজন। তার মা ও বাবা দুজনই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সন্তান। তার জন্মস্থানও এখানেই। তবে তিনি ক্যারিয়ার গড়ছেন এখন কাতারে।
নাবিল না ফিরলেও বাংলাদেশের টানে ফিরে আসা ফুটবলারের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। জামাল ভূঁইয়াকে দিয়ে শুরু। তিনি ২০১৩ সালে প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত খেলোয়াড় হিসেবে দেশে ফিরে আসেন। এরপর তিনি বাংলাদেশ দলের অধিনায়কও হয়েছেন।
এরপর ২০২১ সালে তারিক কাজী এসেছেন দলে। অনেক অপেক্ষার পর ২০২৫ সালে হামজা চৌধুরী হ্যাঁ বলেছেন বাংলাদেশের হয়ে খেলতে, দলের হয়ে অভিষেক হয়ে গেছে ইতোমধ্যেই, পেয়ে গেছেন গোলের দেখাও। এরপর গত ভুটানের বিপক্ষে ম্যাচে ফাহামেদুল ইসলামও অভিষিক্ত হয়ে গেছেন। শমিত সোম আছেন প্রথম ম্যাচ খেলার অপেক্ষায়। দিনচারেক আগে কিউবা মিচেলও পেয়ে গেছেন বাংলাদেশের হয়ে খেলার জন্য প্রয়োজনীয় ফিফার অনুমোদন, এখন তিনি অপেক্ষার প্রহর গুণছেন অভিষেকের।