আমিরুল ইসলাম অল্ডাম, মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি :
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কল্যাণপুর গ্রামে জোরপূর্বক জমি দখলে ব্যর্থ হয়ে থানায় চাঁদাদাবির মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জমি জমা সংক্রান্ত কোন বিরোধ না থাকলেও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সমাজের কাছে হেয় সম্মানহানি ও
মানক্ষুন্ন করার জন্য কল্যাণপুর গ্রামের মৃত হযরত আলীর ছেলে মনিরুল ইসলাম ও আলাউদ্দীন হোসেন নামের দুই ভাই প্রতিবেশী রুবেল হোসেন ও তার পরিবারের লোকজনের নামে মিথ্যা মামলা করে হয়রানি করছে বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গাংনী উপজেলার চক কল্যাণপুর পূর্ব পাড়ার বাসিন্দা মৃত লুৎফর রহমানের ছেলে রুবেল হোসেন একই গ্রামের রফিকুল ইসলামের নিকট থেকে ১৮ নং মৌজার ২২৭৪ দাগ নং সহ ২৪ টি দাগে .২১ শতক জমি ক্রয় করেন। দলিল অনুযায়ী ২২৭৪ দাগে ভোগদখল করে আসছেন। যার দলিল নং ৭৯১৫। তাং-১১/৯/২০০৩ ইং। কল্যাণপুর পূর্ব পাড়া ডিপের ঘোনা নামক মাঠে ২২ বছর আগে জমি ক্রয় করে চাষাবাদ করলেও পার্শ্ববর্তী ২২৭২ দাগের জমির মালিক মনিরুল ইসলাম ও তার ভাইয়েরা জোর
পূর্বক ২০৭৩ দাগের (.২৭ শতক) জমি প্রবাসী আবু হোসেনের নির্মানাধীন পাকা বাড়ি অতিক্রম করে ২০৭৪ দাগের রুবেল হোসেনের জমি জবরদখল করতে বাঁশের খুটি পুতে রাখে।
প্রতিবাদ করতে গেলে মনিরুল ইসলাম ও ভাইয়েরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তেড়ে আসে এবং জমির পাশে আসলে দুই হাত কেটে নেয়া হবে মর্মে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এনিয়ে মনিরুল ও তার পরিবারের লোকজন মারমূখী হয়ে দেশীয় অস্ত্র লাঠি -ফলা, ধারালো অস্ত্র হাসুয়া , ইট পাটকেল নিয়ে হামলা চালায়। পরে প্রতিবেশীরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এঘটনায় উগ্র প্রকৃতির মামলাবাজ মনিরুল ইসলাম একই গ্রামের নিরীহ মানুষ রুবেল হোসেনসহ প্রতিবেশী ৮ জনের নামে ৫ লাখ টাকা চাঁদাদাবি ও বাড়ি ঘরে হামলা ও ভাংচুরের অযুহাতে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে, কয়েকদিন আগে রুবেল হোসেনের অবর্তমানে প্রতিবেশী মনিরুল ইসলাম গং তার .১৩ শতক জমি (প্রশস্ত-২৮ ফুট)পরিমাপ
করে জমির পরিমান ঠিক থাকলেও সে পাশের জমি বাদ দিয়ে পরের দাগে অবৈধভাবে বাঁশের খুটি স্থাপন করে।
এনিয়ে প্রত্যক্ষদর্শী গ্রামের অধিকাংশ লোকজন জানান,
মহিবুল ইসলাম একজন নাস্তিক প্রকৃতির ছেলে। সে আল্লাহ রসুলকে বিশ্বাস করে না। সে একজন কাফের। পবিত্র কোরআন শরীফকে অমান্য করে। সে তার স্ত্রী কে নামাজ রত অবস্থায় পিছন দিক থেকে লাথি মেরে ফেলে দেয়। যে কারনে তার স্ত্রী অভিমান করে বাবার বাড়ি চলে গেছে। তার কারনে নিজের মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। এ সব ঘটনাকে কেন্দ্র করে একবার গ্রামের লোকজন সামাজিভাবে মারপিট করে সমাজচ্যুত করে। গ্রামের লোকজন আরও বলেন,রুবেল হোসেনের চাঁদাদাবির কোন প্রমান নেই। রুবেল হোসেনসহ ৮ জন নিরপরাধ মানুষের নামে মিথ্যা মামলা করেছে। মনিরুল এর আগেও মিথ্যা মামলা করে একাধিক লোককে হয়রানি করেছে। মিথ্যা মামলা দেয়ার কারনে এর আইনগত শাস্তি হওয়া দরকার।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মনিরুল ইসলামের সাথে আলাপকালে তিনি জমি সংক্রান্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন রুবেল
হোসেনের সাথে জমি সংক্রান্ত কোন বিরোধ নেই। রুবেল আমার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিল এবং আমার বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে লুটপাট করেছে তাই আমি মামলা করেছি। তিনি দম্ভ করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে যা খুশি লিখতে পারেন। আমার কিছুই করতে পারবেন না।
এব্যাপারে অভিযোগকারী রুবেল হোসেন মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও মামলাকারী মনিরুলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করতে পুলিশ প্রশাসনের প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ জানান।