খুচরা বাজারে চড়া চালের দাম, ডিম-মুরগিতে স্বস্তি

শুভদিন অনলাইন রিপোর্টার:

দেশের বাজারে হঠাৎ করে চালের দাম বাড়ায় অস্বস্তিতে পড়েছেন বাজার করতে আসা মানুষেরা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ধরনভেদে প্রতি কেজি চালের দাম দুই থেকে আট টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশের প্রত্যন্ত এলাকার মোকামগুলোতেই চালের দাম বেড়েছে। ঢাকার ব্যবসায়ীদের দাবি, চালকল মালিকরা ঈদের পরে চালের দাম বাড়িয়েছেন। যার কারণে ঢাকাতেও চালের দাম বেড়েছে।
শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। চাল বিক্রেতারা বলছেন, উৎপাদনস্থলে বোরো ধানের দাম হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়ায় সরু তথা মিনিকেট চালের দাম এখন বাড়তি। সরু চালের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় বাজারে মোটা ও মাঝারি চালের দামও বাড়ছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, ঈদের আগের চেয়ে এখন প্রতি কেজি চাল ২ থেকে ৫ টাকা টাকা বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। এখন খুচরায় প্রতি কেজি মোটা চাল (বিআর-২৮, পারিজা) মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬২ টাকা দরে। সরু চালের মধ্যে জিরাশাইলের কেজি ৭৪ থেকে ৭৮ টাকা এবং মিনিকেট ৭৬ থেকে ৮০ টাকা। কাটারিভোগ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজিতে।
খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, গত এক সপ্তাহে মিনিকেট চালের দাম কেজিপ্রতি ছয় থেকে আট টাকা বেড়েছে। আর মোটা ও মাঝারি চালের কেজিতে বেড়েছে দুই–তিন টাকা। শহরের মধ্যবিত্ত শ্রেণির ভোক্তারা সাধারণত মিনিকেট চাল বেশি খান।
এদিকে ঈদের পর থেকে বেশ স্বস্তিদায়ক মুরগি, ডিম ও সবজিসহ অন্যান্য বেশকিছু পণ্যের দাম। আবার এরমধ্যে মুদি পণ্যগুলো দামেও তেমন বাড়েনি। কম দামে কেনা যাচ্ছে পেঁয়াজ আলুসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যও।
প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ব্রয়লার মুরগির দাম ১৫০ টাকায় নেমে এসেছে। আর ডিমের ডজন এখন ১২০-১৩০ টাকা। ঈদের পর রাজধানীর বাজারে এখনো ক্রেতা উপস্থিতি কম। আবার ঈদুল আজহার কুরবানি মাংসও রয়েছে বেশিরভাগ ঘরে। যে কারণে ডিম ও মুরগির চাহিদা কম।
বেশিরভাগ দোকানে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। যেখানে ঈদের আগে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছিল ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়। সেই হিসাবে ঈদের ছুটির আগে-পরে বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম ২০ টাকা কমেছে।
ব্রয়লারের পাশাপাশি সোনালি মুরগির দামও কমেছে। আজ বাজারে প্রতিকেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হয়েছে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *