প্রথম দিনে ৮ উইকেটে ২২০ রানে শেষ করল বাংলাদেশ

শুভদিন অনলাইন রিপোর্টার:

শ্রীলংকার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের প্রথম দিন শেষে ৮ উইকেটে ২২০ রান করেছে সফরকারী বাংলাদেশ। ওপেনার সাদমান ইসলাম সর্বোচ্চ ৪৬, মুশফিকুর রহিম ৩৫ ও লিটন দাস ৩৪ রান করেন । বৃষ্টির কারণে প্রথম দিন খেলা হয়েছে ৭১ ওভার।
কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব (এসএসসি) মাঠে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৫ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ১০ বল খেলে খালি হাতে সাজঘরে ফিরেন ওপেনার এনামুল হক। দিনের শুরুতে জীবন পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি এনামুল। প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসেও ১০ বল খেলে খালি হাতে ফিরেছিলেন তিনি।
দ্বিতীয় উইকেটে ৩৮ রানের জুটি গড়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন আরেক ওপেনার সাদমান ইসলাম ও মোমিনুল হক। শ্রীলংকার অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার বলে কভারে ক্যাচ দেন ৩৯ বলে তিন চারে ২১ রান করা মুমিনুল।
৪৩ রানে দ্বিতীয় উইকেট পতনের পর দলের হাল ধরেন সাদমান ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। জুটি গড়ার চেষ্টায় সাবধানে খেলতে থাকেন তারা। কিন্তু বড় জুটির ইঙ্গিত দিয়ে ৩১ রানে বিচ্ছিন্ন হন তারা। শ্রীলংকার পেসার বিশ্ব ফার্নান্দোর বলে খোঁচা মেরে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন গল টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি করা শান্ত। ৩১ বলে ৮ রান করেন তিনি।
৬ বল পর সাজঘরে ফিরেন সাদমানও। ৭টি চারে ৪৬ রান করে থারিন্দু রত্নায়েকের শিকার হন এই ওপেনার।
৭৬ রানে চতুর্থ উইকেট পতনের পর জুটি বাঁধেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। এরপর বৃষ্টিতে বন্ধ হয় খেলা। প্রায় দেড় ঘন্টা পর খেলা শুরু হলে শ্রীলংকার বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে হাফ-সেঞ্চুরির জুটি গড়েন মুশফিক ও লিটন।
চা-বিরতির ৭ বল আগে মুশফিক-লিটনের জুটি ভাঙ্গেন শ্রীলংকার হয়ে অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা স্পিনার সোনাল দিনুশা। উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেওয়ার আগে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩৪ রান করেন লিটন। মুশফিকের সাথে ১১৩ বলে ৬৭ রানের জুটি গড়েন ৫০তম ম্যাচ খেলতে নামা লিটন।
লিটন ফেরার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি মুশফিক। দিনুশার বলে বিশ্বর ক্যাচে পরিণত হন তিনি। ৫ চারে ৩৫ রান করেন মুশফিক।
দলীয় ১৬০ রানে মুশফিক বিদায়ের পর বাংলাদেশের রানের চাকা ঘুড়িয়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজ ও নাইম হাসান। দু’জনের ৩৭ রানের জুটিতে ২শর কাছে পৌঁছে যায় টাইগারদের রান। তবে ২শ থেকে ৩ রান দূরে থাকতে সাজঘরের পথ ধরেন জ্বরের কারণে প্রথম টেস্টে খেলতে না পারা মিরাজ। বিশ্বর বলে স্লিপে কামিন্দু মেন্ডিসকে ক্যাচ দেন ৩টি চারে ৩১ রান করা মিরাজ।
মিরাজের মত উইকেটে সেট হয়ে আউট হন নাইমও। দিনের খেলা শেষ হবার ৭ বল আগে আসিথা ফার্নান্দোর শিকার হন নাইম। ২ চারে ২৫ রান করেন নাইম।
এরপর দিনের শেষ ৭ বল পার করেন তাইজুল ইসলাম ও এবাদত হোসেন। তাইজুল ৯ ও এবাদত ৫ রানে অপরাজিত আছেন।
আসিথা-বিশ্ব ও দিনুশা ২টি করে উইকেট নেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *