উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে তরুণদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার: উপদেষ্টা আসিফ

শুভদিন অনলাইন রিপোর্টার:

বাংলাদেশ সরকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে তরুণদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

মঙ্গলবার মরক্কোর রাবাতে ইসলামিক ওয়ার্ল্ড এডুকেশনাল, সায়েন্টিফিক অ্যান্ড কালচারাল অর্গানাইজেশন (আইসেসকো)’র সদরদপ্তরে মহাপরিচালক ড. সালিম এম. আল মালিকের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।

সেখানে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বাংলাদেশের যুব উন্নয়ন ও দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন এবং এসব উদ্যোগে আইসেসকোর সক্রিয় সহযোগিতা কামনা করেন।

উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে দেওয়া পোস্টে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে আরো বলা হয়, বৈঠকে তিনি বাংলাদেশে ‘ইসলামিক কালচার অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টার’ প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান। পাশাপাশি, আইসেসকোর অন্যান্য দেশে পরিচালিত প্রকল্পগুলোর আদলে বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্মার্ট ক্লাসরুম সম্প্রসারণে সংস্থাটির সহযোগিতা কামনা করেন।

সেসময় ড. সালিম মুসলিম দেশগুলোতে শিক্ষা, বিজ্ঞান, উদ্ভাবন, পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও সংস্কৃতির প্রসারে আইসেসকোর অব্যাহত কার্যক্রম তুলে ধরেন। একই সঙ্গে বাংলাদেশের তরুণ সমাজের সম্ভাবনা ও কর্মক্ষমতা অত্যন্ত প্রশংসনীয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি। ড. সালিম বলেন, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য দেশ হিসেবে আইসেসকোকে নিয়মিত আর্থিক সহায়তা দেওয়ায় বাংলাদেশ প্রশংসার দাবিদার।

তিনি আরো বলেন, সংস্থাটি বাংলাদেশের সঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করতে আগ্রহী এবং প্রতিশ্রুতিশীল তরুণদের আন্তর্জাতিক পরিসরে সুযোগ দিতে বদ্ধপরিকর। এ ছাড়া আইসেসকোর শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমে বাংলাদেশের মেধাবীদের যুক্ত করার ব্যাপারেও আগ্রহ প্রকাশ করেন।

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশের অগ্রগতিকে অনুকরণীয় হিসেবে আখ্যায়িত করেন ড. সালিম। আইসেসকো মহাপরিচালক বলেন, মুসলিম বিশ্বের অন্যান্য দেশেও এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো যেতে পারে। এ লক্ষ্যে সংস্থার জলবায়ু কার্যক্রমে বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞদের সম্পৃক্ত করতে আহ্বান জানান তিনি। পাশাপাশি, আইসেসকো’র উচ্চপর্যায়ে একজন বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞকে যুক্ত করার আগ্রহ জানান।

বৈঠকে তিনি আফ্রিকার আইসেসকোভুক্ত দেশগুলোতে গ্রামীণ ব্যাংকের মডেলে ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্প সম্প্রসারণে বাংলাদেশের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।

দু’পক্ষই ভবিষ্যতে পারস্পরিক সহযোগিতা আরো জোরদারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বৈঠক শেষে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ‘দ্য ইন্টারন্যাশনাল ফেয়ার অ্যান্ড মিউজিয়াম অব দ্য প্রফেট মুহাম্মদ (সা.) অ্যান্ড ইসলামিক সিভিলাইজেশন’ পরিদর্শন করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও ইসলামি সংস্কৃতি ভবিষ্যতে এই জাদুঘরের অংশ হতে পারে এবং বাংলাদেশেও এ ধরনের একটি জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *