বাংলাদেশে বর্তমানে কোনো ধরনের জঙ্গিবাদ নেই- স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা

শুভদিন অনলাইন রিপোর্টার:

বাংলাদেশে বর্তমানে কোনো ধরনের জঙ্গিবাদ নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)।

উপদেষ্টা আজ সকালে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-এর রপ্তানি কার্গো ভিলেজ ও সেখানে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন-এর হিমাগার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে একথা জানান।

উপদেষ্টা বলেন, সকলের সহযোগিতায় জঙ্গিবাদ নির্মূল করা সম্ভব হয়েছে৷ এক্ষেত্রে মিডিয়া ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সহ সংশ্লিষ্ট সকলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সাংবাদিকদের প্রশ্ন উত্থাপন করে উপদেষ্টা বলেন, বিগত ১০ মাসে আপনারা জঙ্গিবাদের কোন তথ্য দিতে পেরেছেন? যখন ছিলো তখন দিয়েছেন৷ এখন নেই, তাই দিতে পারেন না৷ বাংলাদেশে বর্তমানে কোনো ধরনের জঙ্গিবাদ নেই।

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশীদের জঙ্গি ট্যাগ দেয়া ইস্যুতে উপদেষ্টা বলেন, দেশে যে তিনজনকে পাঠানো হয়েছে তাদের কেউ জঙ্গি না৷ এ নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি প্রেস রিলিজও দিয়েছিলো৷ মূলতঃ তাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় তিনজনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে৷ তিনি বলেন, মালয়েশিয়ার পুলিশ প্রধান যে পাঁচজনকে নিয়ে কথা বলেছে সেই পাঁচজন দেশে আসেনি৷ তাদের সাথে আমাদের সরকারি পর্যায়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে৷ আমরা তদন্ত করে দেখবো। তবে বাংলাদেশে এদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই৷

রপ্তানি কার্গো ভিলেজ পরিদর্শন প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এখান থেকে শাক-সবজি, ফলমূল প্রভৃতি বিদেশে রপ্তানি করা হয়৷ রপ্তানি প্রক্রিয়া দেখার জন্যই কার্গো ভিলেজ পরিদর্শনে আসা। তিনি বলেন, আপনারা জানেন- কিছুদিন আগে এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের কারণে আমাদের ফলমূল ও শাক-সবজি রপ্তানি করতে কিছুটা সমস্যা হয়েছিল৷ সে সময় আমাদের ব্যবসায়ীদের অনেকেই কিছুটা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিলেন৷ উপদেষ্টা এসময় জানান, যেহেতু আমাদের দেশের রপ্তানির পরিমাণ অনেক বেড়ে গেছে, সেহেতু এখানে যে কোল্ড স্টোরেজ রয়েছে সেটিকে আরও বড় করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে৷

লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, আমাদের জন্য বড় সুখবর হচ্ছে আমাদের যে নতুন এক্সপোর্ট টার্মিনাল করা হচ্ছে- সেখানে যদি কোনো মালামাল/পণ্য স্ক্যানিং হওয়ার পরও বিমানে যেতে না পারে সঙ্গে সঙ্গেই এসব মাল কোল্ড স্টোরেজে রাখা যাবে। উপদেষ্টা বলেন, বর্তমানে যদি বিমানে ওভারলোড হয় তাহলে যেসব মাল রেখে দিতে হবে সেসব মাল রাখার জন্য কোল্ড স্টোরেজ নেই। কিন্তু নতুন টার্মিনালে এই সুযোগটা থাকছে। তিনি বলেন, আমরা শুধু একটা-দুইটা পণ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে চাই না। কীভাবে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি করা যায় সেটা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *