শুভদিন অনলাইন রিপোর্টার:
ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় গাজাজুড়ে কমপক্ষে আরো ৮২ জন নিহত হয়েছে। যার মধ্যে কেবল গাজা সিটিতেই ৩৯ জন নিহত হয়েছে।
রোববার গাজা সিটিতে ইসরাইলি হামলায় বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা হামলার দৃশ্য বর্ণনা করেছেন। শেখ রাদওয়ান পাড়ার বাসিন্দারা নিহতদের লাশের অংশ সংগ্রহ করে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়াদের উদ্ধারের জন্য তৎপর হয়েছেন।
গাজা সিটিতে এক হামলায় বেঁচে যাওয়া একজন মাহমুদ আল-শেখ সালামা বলেন, রাত ২টার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় হামলাটি হয়।
তিনি বলেন, ‘আমরা একটি বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাই এবং কিছুক্ষণ পরেই আরেকটি বিস্ফোরণ ঘটে। আমরা ছুটে যাই… আর ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে মানুষ, চারটি পরিবার, বিপুল সংখ্যক বাসিন্দা।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা জীবিতদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করি এবং প্রায় তিন ঘণ্টা চেষ্টা ও প্রচেষ্টার পর ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে দুজনকে জীবিত বের করতে সক্ষম হই। আমরা দুজনকে জীবিত বের করি, বাকিরা শহীদ হয়েছিলেন এবং এখনো আটকা পড়ে আছেন অনেকে।’
রোববার গাজার শেখ রাদওয়ান ও আল-নাসর এলাকায় দু’টি বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা বর্ষণ করে ইসরাইলি যুদ্ধবিমান। সেখানে বাস্তুচ্যুত বহু পরিবার আশ্রয় নিয়েছিল। এতে অন্তত ২৫ জন নিহত হন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেশভাগ মানুষ তখন ঘুমাচ্ছিলেন, যাদের অনেকেই ছিলেন শিশু ও নারী। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো অনেকেই আটকা পড়ে আছেন।
ইসরাইল গাজায় গণহত্যার ধারা অব্যাহত রেখেছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া হামলায় এ পর্যন্ত ৫৭ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিভাগই নারী ও শিশু।
সূত্র : আল জাজিরা ও আনাদোলু