আমিরুল ইসলাম অল্ডাম, মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি :
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় টানা বৃষ্টিতে কয়েক হাজার বিঘা আবাদি জমি অনাবাদি হয়ে পড়ে আছে। চলতি আমন মৌসুমে ১০দিনের টানা বৃষ্টিতে অনেক ফসল পানির নিচে তলিয়ে গেছে।এতে কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়েছেন।
বিশেষ করে, আমন ধান, মরিচ ও অন্যান্য সবজি ক্ষেত বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। গাংনী উপজেলার ভোমরদহ,জোড়পুকুরিয়া,ধর্মচাকী চোখতোলার মাঠে প্রায় ২ হাজার বিঘা আবাদি জমি চাষ না করতে পারায় অনাবাদি হয়ে পড়ে রয়েছে।
ছোড়াও অন্য ফসল পাট,মরিচ,আমন ধান ,পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
ধর্মচাকী গ্রামের সাবেক মেম্বর ও কৃষক নিজাম উদ্দিন ও মুসফিকুর রহমান বাবলু,জানান,তিন গ্রামের মাঠের পানি নিস্কাশনের জন্য কুষ্টিয়া মেহেরপুর সড়কের চোখতোলা নামক স্থানে ব্রিজ থাকলেও অবৈধ ভাবে জোড়পুকুরিয়া গ্রামের দুজন ব্যক্তি ব্রিজের মুখে পুকুর খনন ও মাটি ভরাট করার কারনে মাঠের পানি নিষ্কশন সম্ভব হচ্ছেনা একারনে প্রায় ২হাজার বিঘা আবাদি জমি অনাবাদি হয়ে পড়ে
রয়েছে,পানি নিষ্কাশন না হলে খাদ্য সংকটে পড়বে গাংনী বাসি।
ইতি পূর্বে আমি গ্রামের মেম্বর থাকা অবস্থায় গাংনী উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ব্রিজের সামনে পুকুর কেটে পানি নিস্কাশন করে ছিলাম। এবছর আবারো তারা ব্রিজের মুখ বন্ধ করে দিয়েছে। এঘটনায় যে কোনদিন রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা
করছেন তিনি।
এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা জানিয়েছেন, টানা বৃষ্টির কারণে তাদের মাঠগুলোতে পানি জমে যাওয়ায় ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অনেক কৃষকই তাদের জমির ফসল ঘরে তুলতে পারেননি। বিশেষ করে, নিচু এলাকার জমিগুলো সম্পূর্ণভাবে পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, গাংনী উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের কয়েক হাজার বিঘা জমির ফসল অতি বৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এর মধ্যেধর্মচাকী,চেংগাড়া,ভোমরদহ,জোড়পুকুরিয়া,চরগোয়াল গ্রাম, ষোলটাকা, হোগলবাড়িয়া, তেঁতুলবাড়িয়া, ধানখোলা, সাহেবনগর, ভরাট, কাথুলী, বামন্দী উল্লেখযোগ্য।
এব্যাপারে গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার ইমরান হোসেন জানান,কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে ফসলের কি পরিমান ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তথ্য সংগ্রহ চলছে । তথ্য পেলে জানানো হবে। যদি কোন ব্যক্তি পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে রাখে তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এব্যাপারে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ার হোসেন,জানান,রোডস এন্ড হাইওয়ের জমি দখল করে অবৈধ ভাবে ব্রিজের মুখে পুকুর খনন করেছেন কিছু ব্যক্তি তাদের সঙ্গে কথা বলে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।