জার্মানি সীমান্তে কড়াকড়ির মেয়াদ বাড়ালো

শুভদিন অনলাইন রিপোর্টার:

জার্মানি অনিয়মিত অভিবাসী নিয়ন্ত্রণে সীমান্তে চলমান কড়াকড়ি সেপ্টেম্বরের সময়সীমার পরেও অব্যাহত রাখবে। আজ বৃহস্পতিবার দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলেক্সান্ডার ড’ব্রিন্ট একথা বলেন।

জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাতে বার্লিন থেকে এএফপি জানায়, তিনি বলেন, ‘পূর্বে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার রেকর্ড আছে এমন আশ্রয়প্রার্থীদের আবেদন প্রত্যাখ্যাত হলে তাদের তালেবান-শাসিত আফগানিস্তান এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় নির্বাসনে পাঠানোর পরিকল্পনা করছে বার্লিন।’

জার্মানির রক্ষণশীল চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ মের্ৎস অনিয়মিত অভিবাসনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘উগ্র ডানপন্থী অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি) দলের প্রতি ক্রমবর্ধমান সমর্থন ঠেকানোর এটাই একমাত্র উপায়।’

গত ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের প্রচারণার সময় মারাত্মক হামলার ঘটনায় শরণার্থী ও অন্যান্য বিদেশি নাগরিকদের দায়ী করা হলে জনমনে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। এর জেরে এএফডি রেকর্ড ২০ শতাংশ ভোট পেয়েছিল।

পূর্ববর্তী সরকারের অধীনে গত বছর চালুর পর এ বছরের মার্চ মাসে ছয় মাস মেয়াদ বাড়ানো হয়। এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার ডব্রিন্ডট বলেন, ‘আমরা ১৫ সেপ্টেম্বরের সময়সীমার পরেও সীমান্তে কড়াকড়ি বজায় রাখব।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা ইউরোপীয় অংশীদারদের সঙ্গে একমত যে, ইউরোপীয় ইউনিয়নে বহিরাগত সীমান্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত এই পদক্ষেপের প্রয়োজন আছে।’

সন্ত্রাসবাদ বা ব্যাপক অবৈধ অভিবাসনের মতো গুরুতর হুমকির সম্মুখীন হলে, ইউরোপের শেনজেন অঞ্চলের সদস্য দেশগুলোকে দুই বছর পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ পুনরায় চালুর অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

গত মে মাসের শুরুর দিকে ফ্রেডরিশ মের্ৎসের সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর সীমান্তে কড়াকড়ি আরো বাড়িয়ে দেয়। বেশিরভাগ আশ্রয়প্রার্থীকেই ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এই পদক্ষেপের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো।

সীমান্তে মোতায়েন করা ফেডারেল পুলিশের সংখ্যা ১১ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১৪ হাজার করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে, গত ৮ মে থেকে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে জার্মান স্থল সীমান্তে ৯ হাজার ২৫৪ জনকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঘটনা আফগানিস্তান থেকে আসা আশ্রয়প্রার্থীদের সঙ্গে ঘটেছে। এরপর সীমান্ত থেকে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ফিরে গেছে আলজেরিয়া, ইরিত্রিয়া ও সোমালিয়ার আশ্রয়প্রার্থীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *