শুভদিন অনলাইন নিপোর্টার:
গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় জড়িত আরো দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ।
গ্রেফতাররা হলেন- কুমিল্লার হোমনা থানার অনন্তপুর এলাকার হানিফ মিয়ার ছেলে শাহজালাল (২৫) এবং পাবনা জেলার পাঁচবাড়িয়া এলাকার কিয়ামুদ্দিন হাসানের ছেলে মো: ফয়সাল হাসান (২৩)।
এর আগে, ঘটনার সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে হত্যার ঘটনায় জড়িত এক নারীসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) উত্তরের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) রবিউল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সাংবাদিক তুহিন হত্যার ঘটনায় মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গাজীপুরের সদর উপজেলার ভবানীপুর থেকে ফয়সাল ওরফে কেটু মিজান, তার স্ত্রী গোলাপী ও সুমনকে গ্রেফতার করা হয়। রাজধানীর উত্তরার তুরাগ এলাকা থেকে আল আমিনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। অপরদিকে গাজীপুরের সদর উপজেলার হোতাপাড়া এলাকা থেকে স্বাধীন নামে অপর আরেকজনকে গ্রেফতার করে র্যাব।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রয়েছে, ঘটনার শুরুতে ভিডিওতে যে নারীকে দেখা গেছে, যে নারীকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা, সেই নারী। তার নাম গোলাপি। এছাড়া ফুটেজে চাপাতি হাতে (দাড়িওয়ালা ও মাথায় ক্যাপ পরা) কোপানোর জন্য যাকে দৌড়াতে দেখা যায় সেই ব্যক্তি ফয়সাল ওরফে কেটু মিজান। অপরজন ফুটেজে যাকে সাদা শার্ট ও জিন্সের প্যান্ট পরা চাপাতি হাতে দাঁড়ানো দেখা যায়, সেই যুবক স্বাধীন। তাদের মধ্যে ফয়সাল ওরফে কেটু মিজান ও গোলাপী স্বামী-স্ত্রী।
এছাড়াও আল আমিন ও সুমন নামে আরো দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
তাদেরকে শুক্রবার রাতে র্যাব-১ ও পুলিশের পৃথক যৌথ অভিযানে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শুক্রবার রাত ১২টার দিকে জিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ) তাহেরুল হক চৌহান বলেন, ‘সাংবাদিক তুহিন হত্যার পর থেকেই পুলিশের একাধিক টিম বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছিল। সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করার পর আসামিদের শনাক্ত করা এবং তাদের অবস্থান জানার জন্য চেষ্টা অব্যাহত ছিল। তারই ধারাবাহিকতায় তাদেরকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘তদন্তের স্বার্থে আরো অনেক কিছু এখন বলা যাচ্ছে না। আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। আশা করা যায় যারা জড়িত সবাইকে দ্রুতই গ্রেফতার করা সম্ভব হবে