সংবাদ সম্মেলনে জিএমপি কমিশনার ভিডিও ডিলিট না করায় কুপিয়ে হত্যা করেছে সাংবাদিক তুহিনকে

মোঃনূরুল ইসলাম সবুজ, গাজীপুর:
সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। আটক করা হয়েছে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৭ জনকে। বাকি ১ জন এখনো পলাতক। তাকে আটকে অভিযান চলছে।

আজ শনিবার (৯ আগস্ট) দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে একথা জানিয়েছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ড. নাজমুল করিম।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কমিশনার জানান, বাদশা নামের এক ব্যক্তি একটি ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে ২৫ হাজার টাকা তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় পারুল আক্তার ওরফে গোলাপীকে দিয়ে হ্যানি ট্র্যাপের চেষ্টা করা হয়। ওই নারী বাদশাকে বিরক্ত করতে থাকেন, একপর্যায়ে বাদশা নারীকে ঘুসি মারেন। এসময় গোলাপীর সহযোগীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাদশাকে কোপ দেন। বাদশা দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে ধাওয়া দেয় একদল সন্ত্রাসী। আর বাদশাকে কোপানো এবং ধাওয়া দেওয়ার ভিডিও ধারণ করছিলেন সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন।

ভিডিও ধারণের ঘটনা সন্ত্রাসীরা দেখা ফেলায় ধারণকৃত ভিডিও ডিলিট করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। তুহিন ভিডিও ডিলিট না করায় ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে আঘাত করে। তুহিন দৌড়ে একটি মুদি দোকানে গিয়ে আশ্রয় নেন। সেখানে সন্ত্রাসীরা তুহিনকে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে।

তিনি বলেন, ভিডিও ক্লিপ দেখে ৮ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এরমধ্যে সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামিকে গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

পুলিশ কমিশনার বলেন, গ্রেফতার সবার বিরুদ্ধেই বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রেফতার সন্ত্রাসী কেটু মিজানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১৫টি মামলা রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *