জনমনে বিরূপ ধারণা তৈরি করতে পারে এমন কাজ থেকে বিরত থাকার আহ্বান

শুভদিন অনলাইন রিপোর্টার:

জনমনে বিরূপ ধারণা তৈরি করতে পারে এমন কাজ থেকে বিরত থাকতে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।
তারেক রহমান বলেন, ‘স্বাধীনতার ঘোষকের আদর্শের সৈনিক হিসেবে, মাদার অব ডেমোক্রেসি বেগম খালেদা জিয়ার একজন কর্মী হিসেবে, জাতীয়তাবাদী আদর্শের একজন অনুসারী হিসেবে আপনাদের প্রতি আমার আহ্বান— এমন কোনো কাজ থেকে আপনারা বিরত থাকুন, যা জনমনে বিরূপ ধারণা তৈরি করতে পারে। মনে রাখবেন, জনশক্তি, জনবল, বিএনপির মনোবল। জনগণের ভালোবাসায় থাকুন। জনগণকে ভালোবাসায় রাখুন।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘নির্ধারিত সময় নির্বাচন নিয়ে ফ্যাসিবাদ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কোনো কোনো নেতার বক্তব্যের কারণে জনগণের মনে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।’
ফ্যাসিবাদ বিরোধী সকল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিকগামী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হলে রাষ্ট্রে ও রাজনীতিতে পতিত ফ্যাস্টিস্ট শক্তি পুনর্বাসন হওয়ার সুযোগ সহজ হবে।’
তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনায় রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে জনগণকে শক্তিশালী করা কিংবা প্রতিটি নাগরিকের নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করার অন্যতম প্রধান মাধ্যম হচ্ছে নির্বাচন। সুতরাং নানা শর্ত আরোপ করে জনগণের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার পথে বাধা সৃষ্টি করা হয় তাহলে গণতন্ত্র উত্তরণের পথ সংকটে পড়বে। যদি গণতন্ত্র উত্তরণের পথ সংকটে পড়ে, যদি রাষ্ট্রে জনগণ তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে না পারে তাহলে সমগ্রিকভাবে সমস্ত দেশকে সমস্যায় পড়তে হবে। জনগণ নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জনগণ ফ্যাসিবাদ হটিয়েছে।’
তারেক রহমান বলেন, ‘১৯৭১ সাল ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের যুদ্ধ। ২০২৪ সাল ছিল ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা রক্ষা করার যুদ্ধ। গত ৫৪ বছরে দেশের জন্য যারা জীবন দিয়েছে তাদের কাছে আমরা ঋণী। ফ্যাসিস্ট বিরোধী সকল শক্তির মধ্যে নিত্য-নতুন ইস্যুতে বিতর্কে জড়িয়ে পড়া শহীদের আত্মত্যাগের অবমাননা বলে মনে করি। সকল শহীদদের কাঙ্ক্ষিত ইনসাফের গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শহীদের রক্তের ঋণ পরিশোধ করা এখন সময়ের দাবি।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির আগামী দিনের রাজনীতি হবে জনগণের জীবন-মান উন্নয়নের রাজনীতি। দেশের ভিতরে বা বাইরে কর্মসংস্থা সৃষ্টি করা আমাদের মূল লক্ষ্য থাকবে। শুধু কর্মসংস্থান নয়, কর্মসংস্থার পাশাপাশি নিরাপদ কর্মসংস্থার সৃষ্টি করা হবে আমাদের রাজনীতি।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘পরিবেশ রক্ষায় বিএনপি আগামী দিনের জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসলে পাঁচ বছরে ২৫ কোটি গাছ লাগানো পরিকল্পনা করেছি।’
সারাদেশে জিয়াউর রহমানের খাল খননের সুফল তুলে ধরে তিনি বলেন, সারাদেশে খাল খননের পরিকল্পনা করেছে বিএনপি।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন-নবী খান সোহেল প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *