পরিদর্শকরা ‘ইরানে ফিরে গেছেন’ : জাতিসংঘ পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ সংস্থার প্রধান

শুভদিন অনলাইন রিপোর্টার:

জাতিসংঘ পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ সংস্থার প্রধান বলেছেন, তাদের পরিদর্শকদের একটি দল ‘ইরানে ফিরে গেছেন’, এই বছর ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোয় ইসরাইলি ও মার্কিন হামলার পর এটিই প্রথম প্রবেশকারী দল। ওয়াশিংটন থেকে এএফপি এ খবর জানায়।

জুন মাসে ইসরাইলের সঙ্গে ১২ দিনের যুদ্ধের পর তেহরান তার পারমাণবিক স্থাপনাগুলোয় ইসরাইলি ও মার্কিন হামলার নিন্দা জানাতে অইএইএ-এর ব্যর্থতার দিকে ইঙ্গিত করে জাতিসংঘর আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)-এর সঙ্গে সহযোগিতা স্থগিত করে।

মঙ্গলবার সম্প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে ফক্স নিউজের ‘দ্য স্টোরি’-কে মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসি বলেন, ‘এখন আইএইএ-এর পরিদর্শকদের প্রথম দল ইরানে ফিরে গেছে এবং আমরা পুনরায় শুরু করতে যাচ্ছি।’

গ্রোসি বলেন, ‘ইরান প্রসঙ্গে আপনারা জানেন, সেখানে অনেক স্থাপনা রয়েছে। যার ক’টিতে আক্রমণ করা হয়েছিল, ক’টিতে আক্রমণ করা হয়নি। তাই, সেখানে আমাদের কাজ পুনরায় শুরু করার জন্য কী ধরণের ব্যবহারিক পদ্ধতি বাস্তবায়ন করা যেতে পারে আমরা তা নিয়ে আলোচনা করছি।’

মঙ্গলবার জেনেভায় ইরান ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং জার্মানির সঙ্গে আলোচনা চলাকালে এই ঘোষণা আসে। ২০১৫ সালের মৃতপ্রায় পারমাণবিক চুক্তির অধীনে ইউরোপীয় শক্তিগুলো যেসব নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছে তেহরান তা এড়াতে চাইছে।

ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাজেম ঘরিবাদি, আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ইউরোপীয় ত্রয়ীর “সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার এবং কূটনীতিকে সময় ও স্থান দেওয়ার’ সময় এসেছে।

২০১৫ সালের চুক্তির পক্ষ  ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং জার্মানি  আগস্টের শেষ নাগাদ চুক্তির ‘স্ন্যাপব্যাক প্রক্রিয়া’ চালু করার হুমকি দিয়েছে।

জুনের যুদ্ধের সমাপ্তির পর থেকে মঙ্গলবারের বৈঠকটি ছিল ইউরোপীয় কূটনীতিকদের সঙ্গে দ্বিতীয় দফা আলোচনা, যে যুদ্ধ একটি নজিরবিহীন ইসরাইলি আকস্মিক আক্রমণের ফলে শুরু হয়েছিল।

ওই সংঘাত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের পারমাণবিক আলোচনা ব্যাহত করে।

এটি ইরানের সঙ্গে আইএইএ’র সম্পর্কের ওপরও শীতলতা এনে দিয়েছে, তেহরান তার পারমাণবিক স্থাপনাগুলোয় হামলার জন্য জাতিসংঘের সংস্থাটিকে আংশিকভাবে দায়ী করেছে।

ইসরাইল বলেছে, তারা ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি থেকে বিরত রাখার জন্য এই হামলা চালিয়েছে। তবে তেহরান বারবার তার বিরুদ্ধে আনা অস্ত্র তৈরির  উচ্চাকাঙ্ক্ষার কথা অস্বীকার করেছে।

২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি ২০১৮ সালে বাতিল করা হয়। ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে একতরফাভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে চুক্তি থেকে প্রত্যাহার করে নেন এবং ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *