নওগাঁয় রাস্তা পাঁকাকরণের দাবিতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর মানববন্ধন

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

নওগাঁর রাণীনগরের বিল বেষ্টিত বিচ্ছিন্ন একটি ইউনিয়ন মিরাট। এর মাঝে গ্রামীণ রাস্তার ৮ কিলোমিটারের মধ্যে ৫ কিলোমিটারের কিছু অংশ পাঁকা আবার কিছু অংশ ইট বিছানো আর ৩ কিলোমিটার রাস্তা এখনোও লাল মাটির। এ রাস্তার লাল মাটির অংশটুকু পাঁকাকরণের দাবীতে ৪ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) বেলা ১১ টার দিকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর অংশগ্রহণে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলা বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রাসেল সরকারের নেতৃত্বে মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বর্ষা মৌসুমে চলাচলের একমাত্র এই গ্রামীণ মেঠো রাস্তায় বছরের পর বছর কাঁদার সঙ্গে লুটোপুটি খেতে হচ্ছে এই অঞ্চলের বাসিন্দাদের। বিশেষ করে স্কুলগামী শিক্ষার্থী ও জরুরী রোগীদের পড়তে হয় চরম বেকায়দায়। এ দুর্ভোগ থেকে রেহাই পেতে লাল মাটির এই গ্রামীণ রাস্তাটি দ্রুত পাঁকাকরণ করার দাবি জানান তারা।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা জানায়, বর্ষা মৌসুমে হাটু কাঁদা ভেঙ্গে তাদের স্কুলে যেতে হয়। বিকল্প রাস্তা হিসেবে ৩০কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে যেতে হয়। জরুরী রোগীদের হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্য বরণ করতে হচ্ছে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সময় মতো বিদ্যালয়ে যেতে পারে না। তাই দ্রুত এই পুরো রাস্তা পাঁকাকরণ চায় এলাকাবাসী। এছাড়াও প্রতিদিন হাজারো মানুষ এই রাস্তা দিয়ে নওগাঁ, রাণীনগর উপজেলা, রাজশাহী, বাগমারাসহ বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচল করে। দূরবর্তী বিভিন্ন গ্রাম থেকে কয়েক শত শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা এই মেঠো রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। বর্ষা মৌসুমে মেঠো রাস্তার চরম দুর্ভোগের কারণে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা চলাচল করতে পারেন না। উপজেলা বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রাসেল সরকার বলেন, উপজেলার সীমান্তবর্তি এলাকা জামালগঞ্জ বাজার থেকে শৈলগাছী পর্যন্ত ৫কিলোমিটার রাস্তার ৩কিলোমিটার অংশ এখনো লাল মাটির। শুষ্ক মৌসুমে চলাচলা করা গেলেও বর্ষা মৌসুমে এই রাস্তা পানি ও কাঁদায় একাকার হয়ে যায়। যুগের পর যুগ ধরে এই রাস্তা দিয়ে চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
মিরাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমতাজ উদ্দিন বলেন, এই খারাপ রাস্তার জন্য এই অঞ্চলের ছেলে মেয়েদের ভালো স্থান থেকে বিয়ের সম্পর্ক আসে না। জনগুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি আজও অবহেলিত। রাস্তা খারাপ হওয়ার কারণে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল পায় না। এক কথায় একটি খারাপ গ্রামীণ রাস্তার কারণে এই অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়ন থমকে আছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাকিবুল হাসান জানান, এই রাস্তার নষ্ট হওয়া পাঁকা অংশের মেরামতের কাজ অল্প সময়ের মধ্যে শুরু করা হবে। আর অবশিষ্ট মাটির রাস্তার উন্নয়নের কাজের চাহিদা পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই মাটির অংশের আধুনিকায়নের কাজ শুরু করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *