মোঃ নূরুল ইসলাম সবুজ, গাজীপুরঃ
গাজীপুর মহানগরে দুর্গাপূজা ও লক্ষ্মীপূজা উপলক্ষে সর্বমোট ৪৫ লাখ টাকার অনুদান বিতরণ করা হয়েছে। দুর্গাপূজার জন্য ১২১টি পূজা মণ্ডপে প্রতিটিতে ৩০ হাজার টাকা করে মোট ৩৬ লাখ ৬০ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়। এর মধ্যে অঞ্চল-৪ এর ২২টি পূজা মণ্ডপে চেক প্রশাসক সরফ উদ্দিন আহমেদ নিজ হাতে বিতরণ করেন এবং বাকিগুলো আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে হস্তান্তর করা হয়। এছাড়াও লক্ষ্মীপূজা উপলক্ষে মহানগরের ৫০টি মন্দিরে প্রতিটিতে ১৫ হাজার টাকা করে মোট ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে।
অনুদান বিতরণকালে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক সরফ উদ্দিন আহমেদ বলেন, “গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন সবসময় মানুষের কল্যাণ, সামাজিক সম্প্রীতি ও সাম্প্রদায়িক ঐক্য রক্ষায় নিবেদিত। ধর্মীয় উৎসব মানেই আনন্দ, আর এই আনন্দকে সবার জন্য সমানভাবে উপভোগ্য করে তুলতে আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি। দুর্গাপূজা ও লক্ষ্মীপূজা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব, তাই এই অনুদান তাদের আনন্দে নতুন মাত্রা যোগ করবে। আমরা চাই গাজীপুর মহানগর হোক সম্প্রীতির নগরী, যেখানে সবাই মিলেমিশে শান্তি ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ থাকবে।”
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের বর্তমান মেয়াদের ১১তম মাসিক সভায় বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল হাসান, সচিব আমিন আল পারভেজ, ডিডিএলজি আহাম্মেদ হোসেন ভূঁইয়া,তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হারুনুর রশিদ, সুদীপ বসাক, হাসিবুল ইসলাম, ফাইন্যান্স কর্মকর্তা রুবেল মাহমুদ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোঃ সোহেল রানা সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
সভায় প্রশাসক বলেন, “গাজীপুর মহানগরের প্রতিটি নাগরিকের জীবনে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দিতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। বর্তমানে ১০৩টি প্যাকেজে ১৪৩ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। এসব প্রকল্পের মাধ্যমে নগরীর রাস্তাঘাট, ড্রেনেজ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও জনসেবার মান উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হবে। আমি আশা করি ডিসেম্বরের মধ্যে সব কাজ শেষ করতে পারবো এবং তখন নাগরিকরা উন্নয়নের সুফল প্রত্যক্ষভাবে ভোগ করতে পারবেন।”
সভা শেষে প্রশাসক সরফ উদ্দিন আহমেদ পুবাইল এলাকার মেঘডুবি-মাজুখান সড়কের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। তিনি জানান, সিটি কর্পোরেশনের প্রতিটি উন্নয়ন প্রকল্প হবে স্বচ্ছ, টেকসই এবং জনগণের প্রত্যাশা পূরণের উপযোগী।