আমিরুল ইসলাম অল্ডাম, মেহেরপু জেলা প্রতিনিধি:
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাথুলী সীমান্ত দিয়ে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ ১৪ জনকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। শনিবার (১৮ অক্টোবর) সকালে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কাথুলী বিওপির সীমান্ত এলাকার আনুমানিক ১০০ গজ ভেতরে সীমানারেখার ১৩৩/৩ এস পিলারের অভ্যন্তর দিয়ে ১৪ জনকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
বিজিবির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, পুশ ইন হওয়া ব্যক্তিদের বাড়ি ঠাকুরগাঁও জেলায়। তারা বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে দালালের মাধ্যমে ভারতে প্রবেশ করেছিল। আটক পূর্বে আসাম রাজ্যের তেইমপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার অনোজ কুমার তাদের পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বাংলাদেশে হস্তান্তর করেন। এদের মধ্যে ৬ জন পুরুষ, ৪ জন নারী ও ৪ জন শিশু রয়েছে।
বিজিবির কাছে হস্তান্তরকৃত বাংলাদেশিরা হলেন ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী থানার জেলেল বস্তির গ্রামের মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে হানিফুর রহমান (৩৮), তার স্ত্রী লুৎফা খাতুন (২৮), মেয়ে হাবিবা খাতুন (১২), আলিয়া খাতুন (১.৫), ছেলে হাবিবুল্লাহ (০৫); একই এলাকার খাদেমগঞ্জ গ্রামের মৃত কলিম উদ্দিনের ছেলে বাবুল (৫০), তার স্ত্রী আফরোজা খাতুন (৪৩), মেয়ে লাভলী খাতুন (২৫), শবনম খাতুন (১৯), ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২৪); বেউরঝাকী গ্রামের আজগর আলীর ছেলে তারিকুল ইসলাম (২৮); রত্নাই গ্রামের ধুনিবুলা মোহাম্মদের ছেলে আজিজুল হক (৪৫) এবং লক্ষহাট গ্রামের আব্দুল লতিবের ছেলে হাতেম (৫২)। হানিফুর রহমান জানান, তিন বছর আগে জীবিকার তাগিদে পানিপথ দিয়ে দালালের মাধ্যমে ভারতে গিয়েছিলাম। আসাম রাজ্যের হরিয়ানাতে পাপোস তৈরির কারখানায় কাজ করতাম। গত মাসের ২১ তারিখে ভারতের পুলিশ আমাদের আটক করে। এরপর পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসএফ আমাদের বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বনি ইসরাইল জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।